Published : 30 Jul 2023, 02:17 PM
কল অফ ডিউটির পুরনো একটি সংস্করণের অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ম্যালওয়্যার সম্পর্কে দুটি ভিন্ন ভিন্ন পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে বলেছে প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ।
একটি স্টিম ফোরামে ২৬ জুন এক ব্যবহারকারী সতর্ক করে বলেন, কল অফ ডিউটি: মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২ এর অনলাইন লবি ব্যবহার করে আক্রমণ করছে হ্যাকাররা। আক্রমণ এড়াতে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। তার উল্লেখ করা ম্যালওয়্যারটির সন্ধান মিলছে ম্যালওয়্যারের অনলাইন সংগ্রহশালা ভাইরাস টোটালে।
ভিন্ন একজন খেলোয়ার একই ফোরামে দাবি করেন, তিনি ম্যালওয়্যারটি বিশ্লেষণ করে একগুচ্ছ ক্ষতিকর প্রোগ্রাম খুঁজে পেয়েছেন। নিজের পরিচয় গোপন রেখেই গেইম ইন্ডাস্ট্রির ভেতরকার একজন নিশ্চিত করেছেন গেইমটির মধ্যে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ছিল। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি পরিচয় প্রকাশ করেননি।
এ পরিস্থিতিতে গেইমটির মালিক কোম্পানির মুখপাত্র নেইল উড কল অফ ডিউটি আপডেটের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি টুইটকে নির্দেশ করেছেন, যেখানে অস্পষ্টভাবে ম্যালওয়্যারটির উল্লেখ রয়েছে।
টুইটটিতে বলা হয়েছে “একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্টিমে মাল্টিপ্লেয়ার কল অফ ডিউটি: মডার্ন ওয়্যারফেয়ার ২-কে অফলাইনে নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। হ্যাকাররা কেন ম্যালওয়ারটি ছড়াচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ম্যালওয়্যারটি ক্ষতিকর। এটি অনলাইন লবির মাধ্যমে আক্রান্ত একজন থেকে আরেকজনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
তার অর্থ হ্যাকাররা গেইমটির মধ্যে একাধিক বাগ খুঁজে পেয়েছেন এবং সেগুলো ব্যবহার করে খেলোয়ারদের কম্পিউটারে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
গেইম নির্মাতা অ্যাকটিভিশন কল অফ ডিউটি মডার্ন ওয়্যারফেয়ার ২ প্রকাশ করে ২০০৯ সালে। অনলাইনে এখনও কিছু খেলোয়ার গেইমটি খেলেন। টেকক্রাঞ্চ বলেছে তাদের প্রতিবেদন লেখার সময় ৬০০ জন অনলাইনে গেইমটি খেলছিলেন বলে জানিয়েছে এ বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
স্টিম প্ল্যাটফর্মটি চালানো কোম্পানি ভালভের কাছে টেকক্রাঞ্চ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
ভিডিও গেইমসের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কথা প্রায়শই শোনা যায়। যারা গেইমসের ইনস্টলার শেয়ার করেন, অনেক সময়ই সেখানে ট্রোজান আক্রান্ত ইনস্টলার থাকে। মাঝেমধ্যে চিটকোডের মাধ্যমেও ছড়ায় ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার।