Published : 21 May 2025, 06:19 PM
টেসলা ও এআই কোম্পানি এক্সএআইয়ের জন্য ভবিষ্যতেও চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া ও এএমডি থেকে চিপ কিনবেন ইলন মাস্ক। সম্ভব হলে অন্যান্য কোম্পানি থেকেও চিপ কিনতে পারেন তিনি।
মাস্কের এআইকেন্দ্রীক কোম্পানি এক্সএআই এখন তারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মালিক। মঙ্গলবার টেসলা বলেছে, এরইমধ্যে টেনেসির মেমফিসে অবস্থিত নিজেদের ‘কলোসাস’ স্থাপনায় ২ লাখ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ বসিয়েছে তারা।
মাস্ক বলেছেন, মেমফিসের বাইরে ১০ লাখ জিপিইউ ধারণ ক্ষমতার এক ফ্যাসিলিটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে এক্সএআই।
তবে, আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, তিনি উল্লেখ করেননি এরইমধ্যে কোম্পানিটি কতগুলো চিপ অর্ডার করেছে এবং সেগুলো কবে নাগাদ ইনস্টল করা হতে পারে।
মাস্ক বলেছেন, “কয়েক বছর আগে আমি খুব সহজ একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম যে, এআইয়ের সীমাবদ্ধতার কারণ হবে চিপ।”
গত বছর মার্কিন চিপ জায়ান্ট এনভিডিয়া’কে মাস্ক বলেছিলেন, এক্সএআইয়ের জন্য বড় রকমের জিপিইউ চিপের অর্ডার পাঠাতে, যাতে টেসলার আগে তা পাওয়া যায়।
মাস্ক বলেছেন, নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে থাকা টেসলা’র ‘ডোজো’ সুপারকম্পিউটার এরইমধ্যে কোম্পানিটির ‘অটোপাইলট’ ও ‘অপটিমাস রোবটিক্স’ সিস্টেমের ট্রেনিংয়ের জন্য ব্যবহার হচ্ছে।
এক্সএআই’তে মঙ্গলবার মাস্ক বলেছেন, কলোসাস এখন “বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্রেইনিং ক্লাস্টার” যেখানে “দুই লাখেরও এর বেশি জিপিইউ একসঙ্গে ট্রেইনিং করছে।”
মেমফিসে মাস্কের ফ্যাক্টরি তৈরির সিদ্ধান্তকে এ অঞ্চলটিকে ‘উচ্চ-প্রযুক্তি উৎপাদন কেন্দ্র’ বানানোর পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছেন শহর কর্মকর্তারা।
তবে স্থানীয় মানুষরা শক্তি ও পানি বেশি ব্যবহারের কারণে এ কাজের প্রতিবাদ করেছে, বিশেষ করে যেভাবে এক্সএআই তাদের সুপারকম্পিউটার চালানোর জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসে চলা টারবাইন ব্যবহার করছে তার বেলায়। এসব টারবাইন নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরি করে অর্থাৎ বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাস ছাড়ে, যা শ্বাসকষ্টের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
মাস্ক বলেছেন, এখন এআই বিকাশের প্রধান বাধা হলো চিপ। তবে দ্রুতই বিদ্যুৎ এর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে এবং তারপর ২০২৬ সালের মধ্যেই বিভিন্ন এআই কোম্পানির জন্য বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে।
এক্সএআই ও টেসলা কি কখনও একীভূত হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেছেন, এ নিয়ে এখনও ভাবছেন না তিনি। তবে ‘এমনটি অসম্ভব নয়’ এবং এজন্য ‘স্পষ্টভাবেই টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।”
এরইমধ্যে টেসলা ও এক্সএআই একসঙ্গে ব্যবসা করছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সিএনবিসি।
সম্প্রতি এক আর্থিক রিপোর্টে টেসলা বলেছে, ২০২৪ সালে প্রায় ১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন কোটি ৬৮ লাখ ডলার টেসলার ‘মেগাপ্যাকস’ কিনতে খরচ করেছে এক্সএআই, যা এক বড় ধরনের শক্তি সঞ্চয় সিস্টেম।