Published : 31 May 2025, 05:35 PM
রিফর্ম ইউকে এখন থেকে বিটকয়েনের মাধ্যমে অনুদান নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দলটির নেতা নাইজেল ফারাজ।
এর মাধ্যমে রিফর্ম ইউকে যুক্তরাজ্যের প্রথম রাজনৈতিক দল হয়ে উঠল, যারা এ ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অনুদান নিতে রাজি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে এক ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে “ক্রিপ্টো অ্যাসেটস অ্যান্ড ডিজিটাল ফাইন্যান্স বিল”-এর খসড়া তুলে ধরেন দলটির নেতা ফারাজ।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে এই বিলটি পাশ করবেন তিনি। বিলটির লক্ষ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে সহজ ও বৈধভাবে পরিচালনা করা।
ফারাজ বলেছেন “চলুন স্বীকার করে নেই ক্রিপ্টো, বিটকয়েন, ডিজিটাল সম্পদ এখন থেকে স্থায়ীভাবে থাকবে।”
শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাজ্যে ‘ক্রিপ্টো বিপ্লব’ শুরু করবে রিফর্ম ইউকে।
গত মাসে যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস ঘোষণা দিয়েছেন, ক্রিপ্টো সম্পদকে “পরম্পরাগত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের” মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন তিনি। তার লক্ষ্য, এ খাতে যুক্তরাজ্যকে “বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় দেশ” বানানো। তবে ক্রিপ্টোর দামের ওঠানামা ও ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির অনেক এমপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলটির ওয়েবসাইট আপডেট করেছে রিফর্ম ইউকে, যাতে বিটকয়েনের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া সম্ভব হয়। এখন থেকে সমর্থকরা দলের ওয়েবসাইটে গিয়েই ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অনুদান দিতে পারবেন।
ফারাজের খসড়া বিলে যুক্তরাজ্যে ক্রিপ্টো সম্পদের ব্যবহারে কয়েকটি বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টো অ্যাসেটের ওপর কর সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডে ‘বিটকয়েন ডিজিটাল রিজার্ভ’ চালু করা।
ফারাজ বলেছেন, “এই বিলের জন্য প্রচার চালাব আমরা ও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বাস্তবায়ন করব এটি।” তার এ ঘোষণায় করতালিতে অভিবাদন জানান দর্শকরা।
রিভস যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানিকে “পরম্পরাগত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো” নিয়ন্ত্রণ করতে এক খসড়া আইন প্রকাশ করেছেন, যার এক মাস পর ফারাজের এই ঘোষণা এল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এ মাসের শুরুতে ব্রিটেনের ‘ট্রেজারি সিলেক্ট কমিটি’র এমপিরা সরকারকে সুপারিশ করেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে জুয়া খেলার মতো নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তাদের যুক্তি, ক্রিপ্টো সম্পদে বিনিয়োগ করলে গ্রাহকের পুরো অর্থ হারানোর ঝুঁকি থাকে, যেমনটি জুয়া খেলায় ঘটে থাকে।
ওই সময় ট্রেজারি কমিটি বলেছিল, ক্রিপ্টো সম্পদের জন্য আলাদা বা ভিন্ন ধরনের নিয়ম থাকা উচিত, জুয়ার নিয়মের মতো কঠোর বা একই ধরনের নয়।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল সম্পদ গ্রহণকে “অসাধারণ” হিসেবে বর্ণনা করে এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ফারাজ। তিনি বলেছেন, লন্ডনকে “বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রে” পরিণত করতে চান তিনি।