Published : 07 Jun 2025, 07:23 PM
আমেরিকান দৈনিক পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের কপিরাইট মামলার ডেটা সংরক্ষণের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে চ্যাটিজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই।
এর আগে, ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে কপিরাইট মামলাটি দায়ের করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটির অভিযোগ, নিজেদের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষণ দিতে তাদের লেখা কনটেন্ট অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে ওপেনএআই।
ওই মামলায় বিচারক ওপেনএআইকে নির্দেশ দিয়েছেন, চ্যাটজিপিটি থেকে তৈরি হওয়া সব ধরনের আউটপুট বা চ্যাটিংয়ের ফলাফল অনির্দিষ্টকাল ধরে সংরক্ষণ করতে হবে তাদের, যেন প্রমাণ হিসেবে এগুলো ভবিষ্যতে দেখা যায়।
তবে, এ আদেশের বিরুদ্ধে এখন আপিল করেছে ওপেনএআই। কোম্পানিটি বলেছে, আদালতের এই আদেশ তাদের ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি রক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত আলাপ বা তথ্য গোপন রাখে তারা। ফলে এসব চ্যাটিং দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করলে ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি লঙ্ঘিত হতে পারে।
গত মাসে, নিউ ইয়র্ক টাইমস আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিল, ওপেনএআই যেন তাদের তৈরি করা সমস্ত আউটপুট লগ ডেটা বা চ্যাটিং তথ্য মুছে না ফেলে। এরপর আদালত ওপেনএআইকে তাদের সব আউটপুট লগ ডেটা সংরক্ষণ ও তা আলাদা করে রাখতে হবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান লিখেছেন, “আমাদের ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি নষ্ট করে এমন যে কোনও দাবির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব, আর এটা আমাদের মূল নীতি।
“আমাদের ধারণা, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ ডেটা সংরক্ষণের দাবি যথাযথ নয় এবং এটি একটি খারাপ নজির স্থাপন করেছে।”
আদালতের নথি অনুসারে, ৩ জুন ওপেনএআই আদালতকে অনুরোধ করেছে যেন মে মাসে দেওয়া ডেটা সংরক্ষণের আদেশটি বাতিল হয়।
এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি নিউ ইয়র্ক টাইমস।
২০২৩ সালে ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করে পত্রিকাটি।
তাদের অভিযোগ, জনপ্রিয় চ্যাটবটের পেছনে থাকা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল প্রশিক্ষণের জন্য অনুমতি না নিয়েই তাদের লাখ লাখ সংবাদ প্রতিবেদন ব্যবহার করেছে কোম্পানি দুটি।
এপ্রিল মাসে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট বিচারক সিডনি স্টাইন আদালতের এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রমাণ দেখিয়েছে, ব্যবহারকারীদের কপিরাইট লঙ্ঘন করতে প্ররোচিত করেছে ওপেনএআই ও মাইক্রোসফট।
ওই পর্যবেক্ষণে আরও উঠে এসেছে, আগে দেওয়া এক আদেশে ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের কিছু দাবি খারিজ করেছিল আদালত। কারণ, নিউ ইয়র্ক টাইমস অনেকগুলো উদাহরণ দেখিয়েছে যেগুলো নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাদের সংবাদ থেকে লেখা তৈরি করেছে চ্যাটিজিপিটি। এ কারণেই মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।