Published : 19 Jun 2025, 05:35 PM
মাটি ছেড়ে এবার মহাকাশে নজর দিচ্ছে হন্ডা। সর্বশেষ উদ্যোগে নতুন উচ্চতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে জাপানি এই গাড়ি ও বিজনেস জেট নির্মাতা।
বুধবার এক ঘোষণায় হন্ডা বলেছে, সফলভাবে নিজেদের তৈরি “পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেটের” পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ও অবতরণ ঘটিয়েছে তারা।
কোম্পানিটির কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রায় ২১ ফুট দীর্ঘ এ রকেটটি পৃথিবী থেকে আটশ ৯০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায় এবং পরে তা সোজাভাবে অবতরণ করেছে।
হন্ডার পরীক্ষামূলক এ উৎক্ষেপণটি আরও একবার প্রমাণ করল গোটা বিশ্বের মহাকাশ কার্যক্রম এখন কেবল কয়েকটি সরকারি মহাকাশ সংস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং ধীরে ধীরে এটি ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতেও সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এনবিসি।
হন্ডা এখনও বলেনি কীভাবে তাদের রকেট প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার করবে বা এসব বুস্টার কী কাজে লাগানো হবে। তবে কোম্পানিটি বলেছে, এ গবেষণা হন্ডার “টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা” তৈরির প্রচেষ্টারই একটি অংশ।
হন্ডার বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী তোশিহিরো মিবে বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি, রকেট নিয়ে গবেষণার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ, যা হন্ডার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে।”
জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটি বলেছে, পরীক্ষামূলক রকেট উৎক্ষেপণ ও অবতরণটি মঙ্গলবার জাপানের হোক্কাইডো প্রদেশের তাইকা শহরে হন্ডার নিজস্ব একটি স্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎক্ষেপণটি মোট ৫৬.৬ সেকেন্ড স্থায়ী হয় ও রকেটটি নির্ধারিত অবতরণ স্থান থেকে প্রায় ১৫ ইঞ্চি দূরে সঠিকভাবে অবতরণ করেছে।
হন্ডা প্রথমবারের মতো মহাকাশ শিল্পে আসার ঘোষণা দিয়েছিল ২০২১ সালে। তবে কী ধরনের প্রকল্প চলছে বা সেগুলোর সম্ভাব্য ব্যবহার কী হতে পারে সে সম্পর্কে এখনও খুব বেশি তথ্য জানায়নি তারা।
কোম্পানিটি বলেছে, এসব কাজ হন্ডার অন্য কাজের ওপর ভিত্তি করে করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং সিস্টেমের কাজও।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হন্ডার কর্মকর্তারা বলেছেন, “বর্তমান বিশ্বে প্রচুর ডেটা ব্যবহৃত হচ্ছে এবং স্যাটেলাইটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে ডেটা ব্যবস্থার ব্যবহারও ব্যাপকহারে বাড়ছে। এ প্রবণতা বিবেচনায়, আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীর নিম্নকক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য রকেটের চাহিদাও বাড়বে।”
এনবিসি লিখেছে, বর্তমানে পুনরায়ব্যবহারযোগ্য রকেটের উৎক্ষেপণকে আরও টেকসই ও খরচ কমানোর উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্স। যাদের সবচেয়ে পরিচিত পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট হচ্ছে ফ্যালকন ৯।
স্পেসএক্স বলেছে, নতুন প্রজন্মের আরও একটি বুস্টার তৈরি করছে তারা, যার নাম স্টারশিপ। ভবিষ্যতে পুরোপুরিভাবে পুনঃব্যবহারযোগ্য হবে রকেটটি।