Published : 02 Jun 2025, 05:04 PM
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চিপ শিল্পে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারে ‘বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধ’ বা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে চীন। এর আগে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা এক বাণিজ্য চুক্তি মানছে না বলে অভিযোগ তুলেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, “সম্প্রতি বারবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেমিকন্ডাক্টর খাতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের অপব্যবহার ও এ ধরনের অন্যান্য কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন।”
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে সর্বশেষ ধাপ এটি, যেখানে দুই দেশের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ও আধুনিক প্রযুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ঘিরে দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর চীনের কাছ থেকে এমন সাড়া এল। ওই পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য চুক্তি ভেঙেছে চীন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেছেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে এই চুক্তি মানতে দেরি করছে চীন।”
১২ মে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একমত হয়েছে যে, দুই দেশের দেওয়া বেশিরভাগ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হবে। এ সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় অনুষ্ঠিত এক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বৈঠকের পর নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সিএনবিসি।
দূতাবাসের ওই মুখপাত্র বলেছেন, “চীন আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল পদক্ষেপগুলো অবিলম্বে ঠিক করতে, চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে এবং জেনিভায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে তা একসঙ্গে মেনে চলতে আহ্বান জানাচ্ছে।”
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা বলেনি চীন। তবে এ মাসের শুরুতে চীন বলেছিল, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ‘অপব্যবহার’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, মার্কিন বিভিন্ন কোম্পানিকে হুয়াওয়ের এআই চিপ আমদানি বা ব্যবহার করতেও নিষেধ করেছে দেশটি।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকে শুরু করে জাতীয় নিরাপত্তার কৌশলের অংশ হিসেবে চীনে কিছু চিপ ও চিপনির্ভর প্রযুক্তি রপ্তানি সীমিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৯ সালে হুয়াওয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফলে মার্কিন মেধাস্বত্ব বা প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ব্যবহার না করে নিজস্ব চিপ তৈরির আগে কয়েক বছরের জন্য স্মার্টফোন ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল হুয়াওয়ে।
এরপর ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো এনভিডিয়া ও এএমডি’র তৈরি দ্রুতগতির বিভিন্ন এআই চিপ চীনে পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বাইডেন প্রশাসন।