Published : 11 Mar 2025, 04:36 PM
সোমবার সকাল জুড়ে ব্যাপক বিভ্রাটের মুখে পড়ে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার ব্যবহারকারী কয়েক ঘণ্টা যাবত ঢুকতে পারেননি প্লাটফর্মটিতে।
মাস্কের দাবি, এক্স-এ সাইবার হামলার চালানোর মাধ্যমে এমন বিভ্রাট তৈরি হয়েছে, যার পেছনে ইউক্রেইনের হাত রয়েছে।
প্ল্যাটফর্ম মনিটর ‘ডাউনডিটেক্টর’র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এমন হাজার হাজার প্রতিবেদন এসেছে যে, তারা প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারছে না।
যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেও আট হাজারেরও বেশি বিভ্রাটের অভিযোগ এসেছে। কিছু ব্যবহারকারী সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স ব্যবহার করতে পারেননি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
মাস্কের দাবি, ইউক্রেইন এলাকা থেকে ‘ব্যাপকহারে সাইবার হামলা’ চালানোর কারণে এক্স-এ এমন বিভ্রাটের সূত্রপাত ঘটে।
বিবিসি লিখেছে, এই দাবির প্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ দেননি ইউক্রেইন ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কড়া সমালোচক মার্কিন এই ধনকুবের। এমনকি দেশটির সমর্থনপুষ্ট কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন কি না তা নিয়েও কিছু বলেননি তিনি।
এক এক্স পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে “একটি বড় ও সমন্বিত গোষ্ঠী অথবা একটি দেশ জড়িত” রয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ইউক্রেইনের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি।
ফক্স বিজনেস চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত নই ঠিক কী ঘটেছিল। তবে ইউক্রেইন এলাকা থেকে ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস দিয়ে এক্স সিস্টেমটি ভেঙে ফেলার জন্য ব্যাপকহারে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে।”
ওয়েব সেবার সংযোগ পর্যবেক্ষণকারী কোম্পানি ‘নেটব্লকস’-এর পরিচালক আল্প টোকার বলেছেন, তাদের নিজস্ব মেট্রিক্স থেকে অনুমান করা যেতে পারে, এ বিভ্রাটের সঙ্গে সাইবার হামলার যোগসূত্র রয়েছে।
তিনি বলেছেন, সোমবার ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকটি বড় বিভ্রাটের মুখে পড়েছে প্লাটফর্মটি, যার প্রতিটিই বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলেছে।
“সময়কালের দিক থেকে আমাদের নজরে আসা সবচেয়ে বড় এক্স বা টুইটার বিভ্রাটের মধ্যে এটি একটি। বিভ্রাটের এ ধরণটির সঙ্গে মিল রয়েছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অফ সার্ভিস নামের সাইবার হামলার।”
‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অফ সার্ভিস’ বা ডিডিওএস সাইবার হামলার হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইন্টারনেট ট্রাফিকের জন্য চাপ ফেলার মাধ্যমে অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রচেষ্টা।
এর আগে মাস্ক দাবি করেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটি ডিডিওএস আক্রমণের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তবে বিষয়টি তখন যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সোমবারও অ্যারিজোনার ডেমোক্র্যাট মার্কিন সিনেটর মার্ক কেলিকে সপ্তাহ শেষে ইউক্রেইনে যাওয়ার জন্য ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে বর্ণনা করেছেন মাস্ক।
জবাবে কেলি বলেছেন, এই সফর “আমার কাছে প্রমাণ করে যে, আমরা ইউক্রেনীয় জনগণের ওপর থেকে হাল ছেড়ে দিতে পারি না”।