Published : 05 Jun 2025, 02:42 PM
‘সাউথ পার্ক বোনোকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জঘন্য ব্যক্তি’ হিসেবে দেখিয়েছিল। তারা ঠিকই বলেছিল।’ - এইরকম টুইট ইলন মাস্কের কাছ আসাটাই স্বাভাবিক।
সরাসরি ব্যক্তি আক্রমণ সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টেই দেখা যায়, আর দেখা যায় তার ‘ডান হাত’ ইলন মাস্কের পোস্টে।
মাস্কের সাম্প্রতিক পোস্টের লক্ষ্য আইরিশ রক ব্যান্ড ইউটুর ভোকালিস্ট ও মানবিক সহায়তা কর্মী বোনো। কারণ, কদিন আগেই জো রোগানের পডকাস্টে গিয়ে তিনি বলেছেন, মাস্কের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) কার্যত ভেঙে ফেলা হয়েছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
বস্টন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এই সহায়তা বন্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে ৩ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
এরপরই ইলন মাস্ক এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বোনোকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘মিথ্যাবাদী/মূর্খ লোক।’ মাস্ক আরও দাবি করেন, ইউএসএআইডি-এর কাটছাঁটের কারণে ‘একজন মানুষও মারা যায়নি।’
৩০ মে জো রোগানের পডকাস্টে হাজির হয়েছিলেন বোনো, যেখানে তিনি তার নতুন প্রামাণ্যচিত্র ‘বনো: স্টোরিস অফ সারেন্ডার’ নিয়ে আলোচনা করেন। তিন ঘণ্টার এই কথোপকথনে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি ইলন মাস্ক ও তার নেতৃত্বাধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’–এরও সমালোচনা করেন।
বোনো অভিযোগ করে বলেন, ‘৫০ হাজার টন খাদ্য রসদ পড়ে আছে জাহাজে, গুদামে; কিন্তু যারা তা বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন, তারা সবাই চাকরি হারিয়েছেন,’ বলেন বোনো। ‘এটাই কি আমেরিকা?’
এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পডকাস্টের শ্রোতারা, যাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্পের সমর্থক। এক শ্রোতা মন্তব্য করেন, ‘ও লোকটা যতটা খারাপ হওয়ার সম্ভব, ততটাই খারাপ।’ কেউ কেউ বলেন, এই পর্ব তারা এড়িয়ে যাবেন।
মাস্ক সম্প্রতি ডিওজিই-এর প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সিনেটের অনুমোদন ছাড়াই বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ ১৩০ দিন দায়িত্ব পালন করেন।
কেবল বোনোর মন্তব্য নয়, এর আগে ডিওজিই-এর কার্যক্রম নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মাস্কের নীতির বিরুদ্ধে সব ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে ‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলন।
আয়োজকরা বলেন, ‘তারা আমাদের স্বাস্থ্যসেবা, ডেটা, চাকরি, সেবাসহ যা পাচ্ছে তাই কেড়ে নিচ্ছে এবং দুনিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলছে, থামাও যদি পারো। এটা একটা সংকট, আর এখনই সময় রুখে দাঁড়ানোর।’