Published : 18 Jun 2025, 04:11 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এক আইনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স।
নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ওই আইনকে বলা হচ্ছে ‘স্টপ হাইডিং হেইট অ্যাক্ট’। এ আইনের আওতায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, উগ্রতা, ভুয়া তথ্য ও বিদেশি প্রভাব সম্পর্কে তাদের নীতি ও কার্যক্রম প্রকাশ করতে বাধ্য করেছে অঙ্গরাজ্যটি।
গত বছরের ডিসেম্বর এ আইনটিতে স্বাক্ষর করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এবং আগামী সপ্তাহ থেকে রাজ্যটিতে এ আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
মঙ্গলবার দায়ের করা মামলায় এক্স বলেছে, এই আইন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিকে “অত্যন্ত সংবেদনশীল ও বিতর্কিত বক্তব্য” প্রকাশ করতে বাধ্য করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
বিবিসি লিখেছে, এ আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। আর তাকেই মামলার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করেছে এক্স।
রয়টার্স ইনস্টিটিউট-এর নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এখন আমেরিকানদের জন্য প্রধান সংবাদ উৎসে পরিণত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বেশিরভাগ মানুষ এক্স-এর মতো বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ক থেকেই এখন খবর পড়ছেন।
এক্স বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “কোন ধরনের কনটেন্ট গ্রহণযোগ্য তা নির্ধারণ করতে গেলে অনেক বিতর্কের জন্ম হতে পারে। কারণ ‘সঠিক সীমারেখা’ কোথায় টানতে হবে তা নিয়ে মতপার্থক্য সবসময়ই রয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ সরকার করতে পারে না।”
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে “স্টপ হাইডিং হেট অ্যাক্ট”-এর প্রস্তাবক নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের দুইজন আইনপ্রণেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানি বিশেষ করে এক্স-এর সমালোচনা করে বলেছেন, এসব প্ল্যাটফর্ম “বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের নোংরা নর্দমায়” পরিণত হয়েছে।
তারা আরও বলেছেন, নিউ ইয়র্কের এই আইন কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করে না।
নিউ ইয়র্কের সিনেটর ব্র্যাড হোইলম্যান-সিগাল ও অ্যাসেম্বলি সদস্য গ্রেস লি বলেছেন, এক্স’সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “বিদ্বেষ ও ভূয়া তথ্য সংক্রান্ত তাদের নীতি সম্পর্কে জনসাধারণকে ধারাবাহিকভাবে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস ও এক্স কেউই বিবিসির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি আইন বন্ধ করতে পারার প্রায় নয় মাস পর নিউ ইয়র্কের বিরুদ্ধে মামলা করল এক্স।
ওই আইনে, বড় বড় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে তাদের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের নীতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে হত। সেই আইন থামাতে সফল হয়েছিল এক্স। এবার একই ধরনের আইনের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কে মামলা করল মার্কিন ধনকুবের মাস্কের প্লাটফর্মটি।
মঙ্গলবারের এই মামলায় এক্স তাদের আগের বিজয়কে খুব গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছে এবং নিউ ইয়র্কের আইনপ্রণেতাদের সমালোচনা করে বলেছে, ক্যালিফোর্নিয়ার আইন বাতিল হওয়ার পরও নিউ ইয়র্কের আইনপ্রণেতারা আইন সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ নেননি।