Published : 07 May 2025, 06:35 PM
হোয়াটসঅ্যাপকে টার্গেট করে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ছড়ানোর দায়ে পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাতার কাছ থেকে ১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ পেয়েছে মেটা।
ইসরায়েলের সফটওয়্যার কোম্পানি ‘এনএসও গ্রুপ’-এর সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় দিল বিচারকদের একটি দল বা জুরি। এ রায়ের মাধ্যমে মেটা বড় আইনি জয় পেল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
এর আগে, ২০১৯ সালে এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টটি।
ওই সময় মেটা বলেছিল, পেগাসাস নামের নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ২০টি দেশের এক হাজার চারশও বেশি ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপে টার্গেট করেছিল এনএসও। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা।
কোম্পানিটি আরও বলেছে, “অত্যাধুনিক এ সাইবার আক্রমণে” হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা কল না ধরলেও ভিডিও কলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়েছিল কোম্পানিটি।
গত বছর এক বিচারক মেটার পক্ষ নিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার জালিয়াতি ও অপব্যবহার আইন ভেঙেছে ইসরায়েলি কোম্পানিটি। মঙ্গলবারের এ রায়ে ঠিক হয়েছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মেটাকে কত টাকা দিতে হবে এনএসও’কে। আর জরিমানার বিষয়টি ঠিক করতে এক সপ্তাহ ধরে বিচার চলে এ মামলার।
শেষ পর্যন্ত এনএসও গ্রুপকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মেটাকে চার লাখ ৪৪ হাজার সাতশ ১৯ ডলার ও শাস্তিমূলক জরিমানা হিসেবে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থ দেওয়ার রায় দিয়েছে জুরি।
হোয়াটসঅ্যাপের জনসংযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্ল উগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ রায় “এই ধরনের খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন কোম্পানির জন্য এক কড়া বার্তা, যাতে তারা ভবিষ্যতে মার্কিন কোম্পানি ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি নষ্ট না করে।”
নিজেদের ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স’ কোম্পানি হিসেবে দাবি করা এনএসও গ্রুপ বলেছে, পেগাসাস দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফোন নম্বরে নজরদারি করা সম্ভব নয়। আদালতে তাদের আইনজীবীরা বলেছেন, পেগাসাসের কারণে হোয়াটসঅ্যাপের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এক বিবৃতিতে এনএসও-এর গিল লেনিয়ার বলেছেন, এই রায়টি ‘দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার আরেকটি ধাপ’ এবং ‘আরও আইনি পদক্ষেপের’ জন্য আপিল করবে তারা।