Published : 02 Nov 2022, 03:48 PM
আমেরিকান হরর লেখক স্টিফেন কিংয়ের কাছে কড়া ধমক খেয়েছেন ইলন মাস্ক। এর পরপরই টুইটারের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের জন্য তার চাওয়া ফি ২০ ডলার থেকে নেমে এসেছে আট ডলারে!
সপ্তাহের শুরুতেই খবরে উঠে আসে ‘টুইটার ব্লু’ সাবস্ক্রিপশন সেবার খরচ চার ডলার ৯৯ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ১৯ ডলার ৯৯ সেন্টে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন নতুন ‘চিফ টুইট’।
এক টুইটে স্টিফেন কিং লেখেন- “ওই নীল টিকচিহ্ন রাখার জন্য মাসে ২০ ডলার? গোল্লায় যাক! ওদেরই বরং আমাকে ফি দেওয়া উচিৎ। আর, এর যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে আমি এনরনের মতো নেই হয়ে যাব।”
We need to pay the bills somehow! Twitter cannot rely entirely on advertisers. How about $8?
— Elon Musk (@elonmusk) November 1, 2022
এর জবাবে নরম সূর বেরোয় টুইটারের নতুন মালিকের কিবোর্ড থেকে- “আমাদের তো কোনো না কোনোভাবে বিল দিতে হবে। আর আয়ের জন্য বিজ্ঞাপনের ওপর তো পুরোপুরি নির্ভর করতে পারবে না টুইটার। আচ্ছা, আট ডলারে কেমন হয়?”
অক্টোবরের শেষ দিনে ওই টুইটনির্ভর দরদামের পরদিন নিজেই আবার আট ডলারের প্রস্তাব দিয়ে টুইট করেন মাস্ক।
Twitter’s current lords & peasants system for who has or doesn’t have a blue checkmark is bullshit.
— Elon Musk (@elonmusk) November 1, 2022
Power to the people! Blue for $8/month.
১ নভেম্বর টুইটার ব্লুয়ের খরচ আট ডলারে রাখার খবর জানিয়ে মাস্ক আরও বলেছেন, দেশভেদে সেবাগ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে মূল্য সমন্বয় করবেন তিনি।
টুইটারে ব্যবহারকারীর আইডির পাশে একটি নীল টিক চিহ্নের ব্যাজ থাকার অর্থ হলো, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে যে ব্যক্তি বা কোম্পানির হাতে পরিচালিত হওয়ার দাবি করা হচ্ছে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে টুইটার।
বিনা খরচে টুইটার ব্যবহারের সুযোগ পান বেশিরভাগ ব্যবহারকারী। বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, কেবল বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর নির্ভর না করে সরাসরি ব্যবহাকারীদের কাছ থেকে কোম্পানির আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন মাস্ক।
সম্প্রতি চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নিয়েছেন মাস্ক। টুইটার দপ্তরে পা রাখার পর থেকেই কোম্পানির ওপর নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দ্রুত একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রথমেই প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা নেড সিগাল এবং আইন ও নীতিমালাবিষয়ক শীর্ষ নির্বাহী বিজয়া গাড্ডেকে ছাটাই করেছেন।
মঙ্গলবারে টুইট করে গত সপ্তাহেই ইস্তফা দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রধান সারাহ পার্সোনেট। তার প্রস্থানে প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপনদাতারাও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মঙ্গলবারের টুইটে মাস্ক বলেছেন, টুইটের পাল্টা উত্তর, ‘মেনশন’ আর সার্চের ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব পাবেন নামের পাশে নীল টিক চিহ্ন থাকা ব্যবহারকারীরা। দীর্ঘ ভিডিও ও অডিও কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের তুলনায় অর্ধেক বিজ্ঞাপন দেখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মাস্কের মালিকানায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজস্ব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের নামের পাশে নীল টিক চিহ্ন বসিয়ে দিত টুইটার। মাস্ক ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতকরণ এবং নীল টিক দেওয়ার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন– একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের সত্যতা মিললো মাস্কের সাম্প্রতিক টু্ইটগুলো থেকে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এক জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন, নীল টিক চিহ্ন পেতে প্রতি মাসে ২০ ডলার খরচ করতে রাজি নন তারা। প্রতি মাসে পাঁচ ডলার করে দিতে রাজি আছেন বলে মত দিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১০ শতাংশ।