০৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। টানা সাত দিন ধরে চলা এ সংঘাতে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন বিশ্ব, শান্তির আহ্বান জানাচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। রোববার রাতেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব ও হাইফা। পাল্টা জবাবে ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
তেল আবিব, হাইফা ও অন্যান্য নগরীতে আঘাত হেনেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইরানে তাদের অভিযান শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটাতে পারে।
নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ দাবি করে তেহরান বলছে, প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প তাদের নেই।
শনিবার রাতে ইসরায়েলে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইরান। এবারের হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হলেও নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্ফাহানের মূল পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো এখনো অক্ষত রয়েছে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা।
ইরান এই লড়াইকে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ হিসেবে দেখছে। দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের আক্রমণের জবাবে তারা সর্বশক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
ইসরায়েলের ‘রাইজিং লায়নের’ পাল্টায় ইরানের অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রু প্রমিস ৩’। শুক্রবার রাতে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয় ১৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র।