০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
সিকিমে টানা ভারি বৃষ্টির মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বাড়তে থাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে সিকিম রাজ্যের মাঙন, গ্যালশিং ও সোরেং জেলায়। তিস্তা নদী ভারতের সীমানা পেরিয়ে নীলফামারী জেলার কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফলে তিস্তার উজানে বন্যা দেখা দিলে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে।
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ার আসতে পারে।
মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে, বলছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম বিভাগ ও সংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির প্রভাবে আগামী পাঁচদিন হালদা, গোমতী, ফেনী, মুহুরী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়তে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত দেশের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে ৬৯ শতাংশ মানুষেই বার্তা বোঝে না। ফেনী, কুমিল্লার বন্যার্তরা বলছেন, তারা পানি ধেয়ে আসার কোনো ধরনের আভাস পাননি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রোটোকল অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নদীর পানি প্রবাহের তথ্য নিয়মিত বিনিময় করে ভারত, ‘এবারও’ তাই করা হয়েছে।