০৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
বোরো মৌসুমে দুর্গম হাওর সবুজ ফসলে ভরে উঠলে বর্ষায় হয়ে ওঠে অশান্ত, তলিয়ে যায় মাঠ-গ্রাম। উত্তাল আফাল (ঢেউ) আছড়ে পড়ে ঘরবাড়িতে। ঠিক সেসময়ে হাওরের বুকে মাথা তুলে থাকা করচ গাছ ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। এসব গাছে আছড়ে পড়ে শক্তিহীন হয় আফাল। মানুষকে রক্ষার পাশাপাশি এ গাছগুলোই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে হাওরের।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে বোরো মৌসুমের ধান কাটা চলছে। ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, নিকলি ও তাড়াইলের বড় বড় হাওরে ধান কাটায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বৃষ্টি আর ঢলের পানি আসার আগেই ফসল ঘরে তুলতে চান তারা।
সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত কোথাও কোথাও হয়ে উঠেছে সোনালি। পরিপক্ব সেসব ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষক। যদিও পুরোদস্তুর ধান কাটা শুরু হতে লাগবে আরও কয়েকদিন। স্বপ্নের ধান গোলায় তুলতে সেজন্য চলছে প্রস্তুতি।
“জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটের কাজ করতেই গত বছরের ৩০ জুন প্রকল্পের সময় শেষ হয়ে গেছে।”
হড়কা বান না আসার সুযোগে হাওরের বিস্তৃীর্ণ প্রান্তরজুড়ে চলছে ধান মাড়াইয়ের কর্মযজ্ঞ।
বৃষ্টি আর পানি আসার আগেই এবার হাওরের ফসল তুলে এনেছেন কৃষক। প্রচণ্ড তাপদাহ ও রোদের মধ্যেই বোরো মওসুমের প্রায় শতভাগ ধান কাটা শেষ করেছেন তারা । কিশোরগঞ্জের বিস্তৃত হাওরজুড়ে তাদের বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সহজ করেছে ‘হারভেস্টার’ ও ’রিপার’। প্রায় ৭০০টি এ দুই যন্ত্র আর জেলার বাইরে থাকা আসা ৩০ হাজার মওসুমি শ্রমিক ঠিকঠাক ফসল কাটা শেষে হাসি ফুটিয়েছেন কৃষকের মুখে।