Published : 27 May 2025, 09:30 PM
যুক্তরাষ্ট্র আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘গোল্ডেন ডোম’ চালুর যে পরিকল্পনা করছে তার সমালোচনা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, "এটি মহাকাশকে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে পারে।”
জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসার পরই প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যুহ বানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর লক্ষ্য হল: শত শত উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে এক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বানানো যা ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত, অনুসরণ এবং সম্ভব হলে প্রতিরোধ করতে পারবে।
ট্রাম্প তার মেয়াদের শেষের দিকে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উদ্বোধন করার পরিকল্পনা করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনার সমালোচনা করে একে “আত্মন্যায়পরায়ণতা ও দাম্ভিকতার চূড়ান্ত” বলে মন্তব্য করেছে।
অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, “ওয়াশিংটন মহাকাশকে সামরিকায়ন করতে বদ্ধপরিকর। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছে এই পরিকল্পনা "বৈশ্বিক পারমাণবিক ও মহাকাশ অস্ত্র প্রতিযোগিতা উস্কে দিতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু দেশ হিসাবেই গণ্য করে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বরাবরই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা করে আসছে।
ট্রাম্পের গোল্ডেন ডোম পরিকল্পনাকেও উত্তর কোরিয়া নিজেদের নিরাপত্তায় হুমকি হিসাবেই দেখছে , যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুরবল করে দিতে পারে- বলেছেন জাতীয় একত্রীকরণ বিষয়ক কোরিয়া ইন্সটিটিউটের ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক হং মিন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়া সম্পন্ন করলে উত্তর কোরিয়া এর পাল্টা বা বিকল্প প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দাঁড় করতে বাধ্য হবে।
২০২২ সালে উত্তর কোরিয়া নিজেদেরকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে এবং সম্প্রতি কয়েকবছরে দেশটি বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।