Published : 01 Jun 2025, 10:44 PM
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার দেশকে আধুনিক সামরিক সক্ষমতা দিয়ে বৈরি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ করা এবং পরাজিত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
স্টারমার সরকার সোমবারেই দেশের অস্ত্র আধুনিকায়ন এবং অস্ত্র কারখানা নির্মাণের বিশদ পরিকল্পনা নিয়ে একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলেছে।
তার আগে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এই প্রস্তুতির ডাক দিলেন। রোববার ‘দ্য সান’ পত্রিকায় তিনি বলেন, “অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী থাকা দেশগুলোর কাছ থেকে আমরা সরাসরি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই লড়াই করা এবং এতে জয়লাভের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিবিসি জানায়, প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাজ্য সরকার ১৫০ কোটি পাউন্ড ব্যয়ে অন্তত ৬ টি নতুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক উৎপাদন কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কারখানাগুলোকে সবসময় উৎপাদনশীল রাখার মধ্য দিয়ে যুদ্ধাস্ত্র বানানোর সক্ষমতা দ্রুতই আরও বাড়াবে সরকার।
তাছাড়া, কয়েকবছর ধরে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ দূর-পাল্লার অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রও উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এই প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় চলমান রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সামনে থাকা হুমকি এবং নেটো জোটের মিত্র দেশগুলোর নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চাপ মূল্যায়ন করে দেখা হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা ‘মস্কোকে একটি বার্তা পাঠাবে। তারা এই বার্তাই পাবে যে, যুক্তরাজ্য তাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং অস্ত্র শিল্পকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। প্রয়োজনে লড়াই করার প্রস্তুতির অংশ হিসাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
রাশিয়া প্রতিদিনই যুক্তরাজ্যের সামরিক নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালাচ্ছে বলে তিনি সতর্ক করেন। রোববার জন হিলি বলেন, প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় বদলাতে থাকা বিশ্বে রাশিয়ার বাড়তে থাকা আগ্রাসন মোকাবেলায় পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
বিবিসি-কে তিনি বলেন, “আমরা বদলে যেতে থাকা এক বিশ্বে বাস করছি। এই বিশ্বে হুমকি বাড়ছে। রাশিয়ার আগ্রাসন বাড়ছে। নিত্যদিন সাইবার হামলা, নতুন পারমাণবিক হামলার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও একইভাবে উত্তেজনা বাড়ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি কয়েকমাসে ইউরোপের দেশগুলোকে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এরপরই ইউরোপীয় দেশগুলো ইদানিং নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছে।