Published : 05 Jun 2025, 11:16 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনে কথা বলে শুল্ক নিয়ে দুই দেশের বিরোধ দূর করতে আরও আলোচনার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থির করে তোলা শুল্ক নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনের লক্ষ্য নিয়েই বৃহস্পতিবার দুই নেতা ফোনে কথা বলেন। আলাপে দুই নেতা ভবিষ্যতে কোনও সময়ে একে অপরকে নিজ নিজ দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
চীনের খনিজ নপ্তানি বন্ধ করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল সে বিষয়টি নিয়ে জটিলতাও ফোনালাপে দূর হয়েছে।
শিগগিরই নির্ধারণ করা কোনও একটি জায়গায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে বলে বৃহস্পতিবার স্যোশাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
শিয়ের সঙ্গে আলোচনাকে খুবই ভাল বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। ট্রুথ স্যেশালে তিনি লেখেন, ফোনালাপে বেশিরভাগ কথাই হয়েছে বাণিজ্য নিয়ে। ইরান ও ইউক্রেইনের মতো ভূরাজনৈতিক কোনও বিষয়ে নিয়ে আলাপ হয়নি। আর আলোচনা থেকে দুই দেশের জন্যই খুবই ইতিবাচক ফল এসেছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে শি জিনপিংয়ের এর একঘন্টা এই আলাপ হয়। এতে চীনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে ট্রাম্পকে সরে আসার আহ্বান জানান শি। একইসঙ্গে তাইওয়ান নিয়েও ট্রাম্পকে সতর্ক করেন তিনি।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দুটির দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হল।
গত মে মাসে জেনিভায় আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক সাময়িকভাবে কমাতে রাজি হয়।
এর আওতায়, ৯০ দিনের আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার কথা। অন্যদিকে, চীনেরও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ কোর কথা।
তবে গত ৩০ মে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চীন দুই সপ্তাহ আগের শুল্ক কমানোর চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই নেতার এই ফোনালাপ বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে নতুন আশা জাগাবে বলেই মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।