Published : 08 Jun 2025, 01:07 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ডেমোক্র্যাটদের মাস্ক তহবিল দিলে পরিণতি গুরুতর হবে বলে সতর্কও করেছেন তিনি।
ওই পরিণতি কী হতে পারে, টেলিফোনে এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা বলতে অস্বীকার করেন ট্রাম্প আর যোগ করেন, মাস্কের বিষয়ে কোনো তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
টেসলা ও স্পেসএক্স এর প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমি তেমনই মনে করি, হ্যাঁ।”
মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার কোন ইচ্ছা আছে কি না, এমন প্রশ্নে এনবিকে ট্রাম্প বলেন, “না। তার সঙ্গে কথা বলার কোন ইচ্ছা আমার নেই।”
তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট অথবা রকেট লঞ্চ কোম্পানি স্পেসএক্স এর সঙ্গে থাকা মার্কিন সরকারের চুক্তিগুলো বাতিল করার কথা ভাবেননি তিনি।
গত সপ্তাহে মাস্ক ও ট্রাম্প পরস্পরের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করতে শুরু করেন। এই দুইজনের বিবাদ শুরু হয় কয়েকদিন আগে যখন ট্রাম্পের ব্যাপক কর কাটছাঁট ও ব্যয় সংক্রান্ত বিলের নিন্দা জানিয়ে একে ‘বিরক্তিকর জঘন্য বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন মাস্ক। মাস্ক যখন এসব বলতে শুরু করেন তখন প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প তার মুখ বন্ধ রেখেছিলেন, কিন্তু পরে সামাজিক মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িযে পড়েন।
মাস্কের বিরোধিতা মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের ওই বিলের পাসের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে, যেখানে প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান সামান্য।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি অল্প ব্যবধানে পাস হয়েছে আর এখন এটি সেনেটে আছে। সেনেটে ট্রাম্পের রিপাবলিকান সহকর্মীরা বিলটিতে পরিবর্তন আনার কথা বিবেচনা করছেন যেটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে অভিহিত করে আসছেন।
নির্দলীয় বিশ্লেষকদের হিসাব অনুযায়ী, এই বিল ১০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার ঋণের সঙ্গে আরও দুই লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার যোগ করবে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক আইনপ্রণেতা উদ্বিগ্ন, তাদের মধ্যে আর্থিক বিষয় নিয়ে কঠোর মনোভাবাপন্ন রিপাবলিকানরাও আছেন।
শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, ৪ জুলাই স্বাধীনতার দিবসের ছুটির আগেই বিলটি পাস হবে বলে আত্মবিশ্বাসি তিনি।
২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার পর থেকে ট্রাম্পের উদ্যোগগুলোতে রিপাবলিকানরা জোরালোভাবে সমর্থন জানিয়েছে আসছেন। কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের কয়েকটি পছন্দ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে মন্তব্য করলেও তারা এখনও প্রেসিডেন্টের কোনো নীতি বা মনোনয়নের বিরুদ্ধে ভোট দেননি।
ট্রাম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ‘এখন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার সময়’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এই দল ‘মাঝখানে থাকা ৮০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।