Published : 13 Jun 2025, 04:59 PM
পূর্ব আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১০০ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন সিএনডিডি-এফডিডি দল। তবে বিরোধীরা ভোটের এই ফলকে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ আখ্যা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করে বরুন্ডির নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, দেশের সব প্রদেশেই ক্ষমতাসীন দল ৯৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। তবে তিনি বলেন, “নির্বাচনে কেবল ‘সামান্য অনিয়ম’ দেখা গেছে।”
বিরোধী ইউপ্রোনা দল মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দলটির নেতা অলিভিয়ে এনকুরুনজিজা বলেন, “আমরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছি।”
প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস ফর লিবার্টি (সিএনএল) মাত্র ০ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নির্বাচনের ফল প্রমাণ করে বুরুন্ডিতে গণতন্ত্র আজ ফাঁপা হয়ে গছে।
সংগঠনটি বলছে, ২০০৫ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা সিএনডিডি-এফডিডি পরিকল্পিতভাবে প্রধান বিরোধীদল-সহ সব অর্থবহ বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
দেশটিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং বিরোধীরা বলছে, এই নির্বাচন এক দীর্ঘ সময়ের ভয়ভীতি, দমন-পীড়ন ও হয়রানির চূড়ান্ত পরিণতি।
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ জানিয়েছে, ক্যাথলিক চার্চের নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের অনেক কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতেও আফ্রিকান ইউনিয়ন নির্বাচনকে ‘স্বাধীন ও স্বচ্ছ’ পরিবেশে হওয়া এবং ‘শান্তিপূর্ণ’ বলে প্রশংসা করেছে, যার জন্য তারা সমালোচিতও হচ্ছে।
প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর বুধবার বুরুন্ডির প্রধান শহর বুঝুমবুরায় উৎসব বা উদযাপনের তেমন কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
সংবিধান অনুযায়ী, এই ফলাফল এখন দেশটির সাংবিধানিক আদালতে জমা দেওয়া হবে এবং ২০ জুনের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে।
দেশটিতে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো আরুশা চুক্তি অনুযায়ী, সংসদে হুতু, তুতসি ও তুয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে নিশ্চিত করতে হয়।
সেই অনুপাতে ভারসাম্য আনতে নির্বাচন কমিশন অতিরিক্ত ১১টি আসন যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে সংসদের মোট সদস্যসংখ্যা দাঁড়াবে ১১১ জনে।