Published : 21 Mar 2025, 01:54 PM
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ প্রধানমন্ত্রী পদে এক বছরেরও কম সময় ধরে থাকা কামাল মাদুরিকে সরিয়ে তার জায়গায় সারা জাফারানিকে বসিয়েছেন।
স্থবির অর্থনীতি আর সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের দেশগুলো থেকে বানের জলের মতো আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আরব এ দেশটি এমনিতেই সঙ্কটে আছে; তার মধ্যেই সাইদ প্রধানমন্ত্রী পদে এ রদবদল আনলেন।
প্রকৌশলী জাফারানি ২০২১ সাল থেকে তিউনিসিয়ার সরঞ্জাম ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন; তাকে নিয়ে দেশটি দুই বছরের মধ্যে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পেল, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাইদ মন্ত্রিদের দক্ষতা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তুলছিলেন। গত মাসে তিনি অর্থমন্ত্রী সিহাম বুগদিরিকেও বরখাস্ত করেন।
এবার জাফরানির জায়গায় সরঞ্জাম মন্ত্রণালয়ের ভার তিনি সালাহ জুরিকে দিয়েছেন।
উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে গত বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৪% ছাড়ায়নি, দেশটির সরকারি অর্থায়নও একটি গুরুতর সঙ্কটের মধ্যে আছে, যার দরুন চিনি, চাল ও কফিসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
“সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমরা সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেব,” শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া বক্তৃতায় এমনটাই বলেন সাইদ।
নজিরবিহীন অভিবাসী সঙ্কট নিয়েও দেশটি বিপদে আছে। ইতালির উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টায় সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোর হাজার হাজার নাগরিক তিউনিসিয়ায় ছুটে আসছে।
কর্তৃপক্ষ সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় বাধ সাধায় অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীই এখন আম্রা ও ঝবিয়ানা জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছে।
এদের সঙ্গে প্রায়ই স্থানীয়দের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। স্থানীয়রা চান এদের সরিয়ে দিতে। একাধিক মানবাধিকার গোষ্ঠীর অভিযোগ, সরকারই এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রতি বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে।
২০২১ সালে নির্বাচিত পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার পর অতিরিক্ত ক্ষমতা নেওয়া সাইদ এখন অধ্যাদেশ জারি করে দেশ চালাচ্ছেন। বিচার বিভাগের কর্তৃত্বও তার হাতে। তার এসব পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা।