Published : 11 Aug 2024, 02:56 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণ শিবির শনিবার জানিয়েছে, তাদের কিছু অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ হ্যাক হয়েছে। এর জন্য প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইরান সরকারকে দায়ী করেছে তারা।
ট্রাম্প ও ইরানের অতীত শত্রুতা এর পেছনে কাজ করেছে বলে দাবি করেছে তারা।
মার্কিন সংবাদ ওয়েবসাইট পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের ‘সম্ভাব্য দুর্বলতার’ নথিসহ ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের নির্ভরযোগ্য নথি পেতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জুলাইয়ে অজ্ঞাত উৎস থেকে ইমেইল পেতে শুরু করে তারা।
পলিটিকো এ নিয়ে প্রতিবেদন করার অল্পক্ষণ পর রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রচারণা শিবিরের বিবৃতিটি আসে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ওই বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চন বলেন, “এই নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন বিদেশি উৎস থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২৪ এর নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াজুড়ে বিশৃঙ্খলার বীজ বপণ করা এগুলোর উদ্দেশ্য।”
শনিবার রাতে ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাপে এক পোস্টে বলেন, মাইক্রোসফট মাত্রই তার প্রচারণা শিবিরকে জানিয়েছে যে তাদের একটি ওয়েবসাইট ইরান হ্যাক করেছে। ইরানকে দায়ী করে তিনি বলেন, তারা শুধু ‘প্রকাশ্যে থাকা তথ্যগুলোই শুধু হাতাতে পারবে’।
কিন্তু ওই হ্যাকের বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। আর রয়টার্সও কথিত হ্যাকারদের পরিচয় বা তাদের উদ্দেশ্যের বিষয়টি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ট্রাম্প শিবিরের অভিযোগের জবাবে জাতিসংঘের নিউ ইয়র্ক সদরদপ্তরে ইরানের স্থায়ী মিশন রয়টার্সকে এক ইমেইলে বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কোনো উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় ইরান সরকারের নেই। আমরা এই ধরনের প্রতিবেদনের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা দেখি না।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউজে ছিলেন তখন তার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উত্তেজনাকর ছিল। ট্রাম্পের অধীনে থাকাকালেই যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করেছিল এবং ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে হওয়া তেহরান পারমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।