Published : 06 Jun 2025, 08:14 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রকাশ্য বিবাদের পর তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে হোয়াইট হাউজের সহযোগীরা শুক্রবার দুইজনের ফোনালাপের ব্যবস্থা করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।
তবে হোয়াইট হাউজ পরে বিবিসি’কে জানিয়েছে, ইলন মাস্কের সঙ্গে আজ (শুক্রবার) ফোনে কথা বলতে ইচ্ছুক নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এমনকি মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার প্রচারে সহায়তার জন্য ট্রাম্প এবছরের শুরুর দিকে যে টেসলা গাড়ি কিনেছিলেন, সেটিও তিনি এখন বিক্রি করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।
ঊর্ধ্বতন হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে সিবিএস নিউজ। লাল এই টেসলা গাড়িটি হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই দাঁড় করিয়ে রাখা আছে।
ট্রাম্প এখন এই গাড়ি থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। এটি তিনি হয় বিক্রি কিংবা দান করে দিতে চান বলে জানানো হয়েছে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের খবরেও।
শুক্রবার ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি মাস্কের সঙ্গে সম্প্রীতি ফেরাতে কোনও ধরনের ফোনালাপের আশা গুঁড়িয়ে দেন।
মাস্কের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানান ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে তিনি বলেন, “আমি এমনকি ইলন মাস্ক কে নিয়ে ভাবছিও না। তার সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেচারার সমস্যা হয়েছে।”
এর আগে ট্রাম্প এবিসি নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘মাস্ক পাগলামি করছেন’ বলে মন্তব্য করে বিবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার তারা প্রকাশ্যেই একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়ান।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ‘বন্ধু’ ইলন মাস্ককে অনেক সাহায্য করেছেন। তার পরেই মাস্ক পাল্টা দাবি করেন যে, তিনি সাহায্য না করলে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততেই পারতেন না।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, দুইজনের লড়াই ক্রমশই তীব্র হয়েছে। ট্রাম্প নতুন আঘাত হানার ইঙ্গিত দিয়েছেন টেসলা কোম্পানির সিইও মাস্কের ওপর।
আর্থিক অবরোধের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি সরকার থেকে যে ভর্তুকি পায় মাস্কের কোম্পানি টেসলা, তা-ও বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে, মাস্কও থেমে থাকেননি। তিনি বলেই চলেছেন, ট্রাম্পের নতুন কর ও ব্যয় বিল যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দিতে পারে। এমনকি, ট্রাম্পকে অভিশংসন করার প্রস্তাবও দিয়েছেন মাস্ক।
এই আবহে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে ফোনালাপ হতে পারে- এমন খবরে দু’য়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব অবসানের আশা জেগে উঠেছিল। কিন্তু উভয়ের মধ্যে বিশ্বাসের সংকট যে গভীর, তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট।