Published : 19 Jun 2025, 09:43 AM
ইরানের রাজধানী তেহরান ও দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে বৃহস্পতিবার নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বরাতে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু লিখেছে, রাতের বেলা ইরান থেকে ছোড়া একটি ড্রোন তারা ধ্বংস করেছে। ওই ড্রোনের কারণে উত্তর ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। এরপর জর্ডান উপত্যকায় আরেকটি ড্রোন ধ্বংস করার কথা এক্স পোস্টে জানিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
আর ইরানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন ১৩ শতাধিক মানুষ।
এদিকে ইরানে হামলায় শরিক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ মাসের শুরুর দিকে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে এই অঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে অন্তত ৩০টি সামরিক উড়োজাহাজ ইউরোপে পাঠানো হয়েছে। এই উড়োজাহাজগুলো সবই মার্কিন সামরিক ট্যাংকার, যা যুদ্ধে জেট ও বোমারু উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
উড়োজাহাজবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ দক্ষিণ চীন সাগর থেকে কয়েকটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করা অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ ইতোমধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটন এফ-১৬, এফ-২২ ও এফ-৩৫ ফাইটার জেট মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতে স্থানান্তর করেছে।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে প্রথম হামলা চালানোর পর ছয় দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।
দুই দেশের এই সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, সংঘাত বাড়তে থাকলে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
চলমান সংঘাত নতুন মাত্রায় গড়ানোয় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, “আরও সামরিক হস্তক্ষেপ কেবল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্যই নয়, বরং গোটা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যই ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।