Published : 05 Jun 2025, 09:56 PM
ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ‘অনাকাঙ্খিত সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যকে বিশ্বব্যাপী সংকটের হোতা এবং ‘যুদ্ধের উস্কানিদাতা’ তকমাও দিয়েছে মস্কো।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করার আগে থেকেই লন্ডন-মস্কো সম্পর্ক তলানিতে ছিল।
গুপ্তচরবৃত্তি এবং হস্তক্ষেপ কেলেঙ্কারিতে এই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়, যার মধ্যে আছে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের মাটিতে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগের ঘটনাও।
তাছাড়া, ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্যই ইউক্রেইনকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে আসছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ইংরেজি শেখানোর আড়ালে ব্রিটিশ স্বার্থ প্রচার করা এবং ‘এলজিবিটি আন্দোলন’ সমর্থন করার অভিযোগ করেছেন, যা রাশিয়ায় বেআইনি।
তিনি আরও বলেন, “রাশিয়ান ফেডারেশনের দেশীয় ও বিদেশি নীতিকে একের পর এক অসম্মানিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।” ব্রিটিশ কাউন্সিলকে গুপ্তচরদের ডেরা বলেও অভিযোগ করেছে রাশিয়া।
এনডিটিভি জানায়, মস্কো পশ্চিমা-সমর্থিত কয়েক ডজন সংস্থাকে ‘অবাঞ্ছিত’ হিসেবে চিহ্নিত করায় রাশিয়ায় তাদের কর্মকাণ্ড অবৈধ হয়ে পড়েছে। এসব সংস্থার হয়ে কাজ করলে হতে পারে কারাদণ্ডও।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যকে ‘বিশ্বব্যাপী সংকটের প্রধান উৎস এবং যুদ্ধের উস্কানিদাতা আখ্যা দিয়েছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা রাশিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ব্রিটিশ কাউন্সিলকে আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করছে বলে এফএসবি অভিযোগ করেছে। তাছাড়া, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে সহযোগিতা করা রুশ অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককেও এফএসবি চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা দিতে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন হিসাবেই নিজেদের পরিচয় তুলে ধরে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের পরিচালনায় ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন দেশে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার আইইএলটিএস পরীক্ষার সমন্বয় সাধন এবং সংস্কৃতিক বিনিময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
২০১৮ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। এবার এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে তা আরও পাকাপোক্ত করল রাশিয়া।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ গোয়েন্দারাদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।