Published : 12 Jun 2025, 12:46 PM
প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথমবার একসঙ্গে দুটি চীনা বিমানবাহী রণতরীকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখার পর সপ্তাহান্তে দুবার চীনা যুদ্ধবিমান অস্বাভাবিকভাবে জাপানের সামরিক টহল বিমানের খুব কাছ ঘেঁষে উড়ে গেছে বলে জানিয়েছে টোকিও।
জাপান এরই মধ্যে এসব ঘটনার প্রতিবাদও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বলেছেন দেশটির মুখ্য মন্ত্রিসভা সচিব ইয়োশিমাসি হায়াশি।
“চীনা পক্ষের কাছে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য আন্তরিক অনুরোধ জানিয়েছি,” ৭-৮ জুনের ঘটনা নিয়ে তিনি এমনটা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টোকিওর দাবি, ওই দুইদিন চীনা যুদ্ধবিমানগুলোর কাছ ঘেঁষে উড়ে গেছে, এর মধ্যে একবার তো তারা ৪৫ মিটার দূরত্বেও চলে এসেছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার বিমানবাহিনী রণতরী শ্যানডংয়ের একটি চীনা জে-ফিফটিন যুদ্ধবিমান প্রায় ৪০ মিনিট ধরে একটি জাপানি পি-থ্রিসি টহল উড়োজাহাজকে ধাওয়া করেছে।
পরদিন ফের একটি জে-ফিফটিন ৮০ মিনিট ধরে একটি পি-থ্রিসি বিমানকে ধাওয়া করে মাত্র ৯০০ মিটার দূরত্বে জাপানি বিমানটিকে টপকে যায়।
ওকিনাওয়াভিত্তিক জাপানের মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স বাহিনীর এই পি-থ্রিসি উড়োজাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় নজরদারি চালাচ্ছিল, বলছে জাপানি মন্ত্রণালয়।
“চীনা সামরিক বিমানের এ ধরনের অস্বাভাবিক কার্যকলাম দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষের কারণ হতে পারে,” বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেছে তারা। এর সঙ্গে রোববার খুব কাছ থেকে তোলা জে-ফিফটিন যুদ্ধবিমানের একটি ছবিও সংযুক্ত করে দিয়েছে তারা।
জাপানি বিমান ও ক্রুদের কোনো ক্ষতি হয়নি, বিবৃতিতে বলেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র হায়াশি বলেন, নানান স্তরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার পাশাপাশি টোকিও নিজেদের ভূখণ্ডের আশপাশের আকাশসীমায় নজরদারিও অব্যাহত রাখবে।
প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথমবার একসঙ্গে দুটো চীনা বিমানবাহী রণতরী শ্যানডং ও লিয়াওনিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে দিনকয়েক আগেই জানিয়েছিল জাপান।
নিজেদের সীমান্তের বাইরেও যে অনেক কিছু করার সক্ষমতা বেইজিংয়ের আছে সেটা জানান দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই দুটো রণতরীকে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে বলেই মনে করছে টোকিও।
তবে বেইজিং বলছে, তাদের বিমানবাহী রণতরীগুলো ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণ’ মহড়া পরিচালনা করেছে এবং এ মহড়া কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে হয়নি।
২০১৪ সালে টোকিও বলেছিল তারা পূর্ব চীন সাগরের ওপরে তাদের সামরিক উড়োজাহাজের ৩০ মিটার কাছ দিয়ে চীনের সামরিক বিমানকে উড়ে যেতে দেখেছে। সেসময়ও তারা বেইজিংয়ের কাছে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিল।