Published : 17 Jun 2025, 12:27 AM
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে তুরবত, পাঞ্জগুর ও গোয়াদার জেলায় ইরানের সঙ্গে থাকা সব সীমান্ত ও ক্রসিং পয়েন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক সরকার।
পাকিস্তানের দ্য ডন পত্রিকা জানায়, রোববার জেলাগুলোর উপকমিশনারদের দেওয়া একাধিক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইরান সংলগ্ন ভ্রমণ করিডোর এবং গোয়াদর সংলগ্ন সব ইরানি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গোয়াদারের ডিসি অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বেলুচিস্তান সরকারের নির্দেশনায় এই জেলার গাবদ-কালাতো সীমান্ত করিডোর বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।”
পাঞ্জগুর প্রশাসনও জানায়, তাদেরও ইরান সংলগ্ন সব সীমান্ত ক্রসিং ও করিডোর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং যাতায়াত ও জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে “ইরানে সম্ভাব্য অনিশ্চিত পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক উত্তেজনার কারণে উদ্ভূত নিরাপত্তা হুমকি” বিবেচনায়।
গোয়াদার ও পাঞ্জগুর উভয় জেলার প্রশাসনই জনসাধারণকে অনুরোধ করেছে যেন তারা অপ্রয়োজনীয় চলাচল এড়িয়ে চলে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এর আগে রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ইরান থেকে ৪৫০ পাকিস্তানি জাইরিনকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
পাশাপাশি ইরান ও ইরাকে থাকা আরও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ১৫৪ জন শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও জানান, ইরাকের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় সেখানে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। নিরাপদ অবস্থানের জন্য স্থানীয়ভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ওদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে দার বলেন, ইসরায়েলের “অন্যায্য হামলার” কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পাকিস্তান উদ্বিগ্ন।
তিনি জানান, পাকিস্তান আসন্ন ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নেবে, যা আগামী সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আগেই নির্দেশ দিয়েছেন, ইরানে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।
একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশবাসীকে ইরান ও ইরাকে ভ্রমণ পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে।