Published : 16 Jun 2025, 01:34 AM
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নজিরবিহীন হামলা-পাল্টা হামলা যখন সংঘাত আরও বিস্তৃত রূপ নেওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছে তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সহজেই এ যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে। তবে একই সঙ্গে তেহরানকে মার্কিন কোনো লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি এক পরিকল্পনায় সম্প্রতি ভিটো দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এ বিষযে ট্রাম্পের ওই সময়ের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন রয়টার্সের কাছে।
“ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না,” ট্রাম্প এমনটাই বলেছেন বলে ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন।
নজিরবিহীনভাবে শুক্রবার ভোর থেকে ইরানে কয়েক দফা হামলার পর খামেনি ইসরায়েলকে তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন।
একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার জবাবে পরে পাল্টা হামলাও চালায় ইরান। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে। উভয় দেশে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিযোগী দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিকে হত্যার সুযোগ পেয়েছিল ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। তবে ট্রাম্প তাদেরকে পরিকল্পনা বাদ দিতে বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি ইসরায়েলিদের ওই বার্তা দিয়েছেন না কি তা বলেননি ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা।
ইরানের হামলার পর থেকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই জানত না বলে ট্রাম্প দাবি করে এলেও ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
এদিকে মার্কিন টিভি স্টেশন ফক্স নিউজের সঙ্গে রোববার এক সাক্ষাৎকারের সময় নেতানিয়াহুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন উপস্থাপক। জবাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারিদিকে নানা গুজব খবরের ছড়াছড়ি।
”আমি এর মধ্যে যাচ্ছি না। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি, আমি মনে করি, যা প্রয়োজনীয় তা আমরা করে থাকি। এবং আমার বিশ্বাস তার জন্য কোনটা ভালো সেটি যুক্তরাষ্ট্র ভালো করেই জানে।”
আরও পড়ুন:
'তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতির' জন্য প্রস্তুত হও, ইসরায়েলকে খামেনি