Published : 12 Apr 2023, 01:23 AM
চাপে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় নথি ফাঁসের ঘটনায়। এই ঘটনা এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কংগ্রেস সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে নাড়িয়ে দিয়েছে।
কীভাবে এবং কতগুলো নথি ফাঁস হয়েছে, তার হিসাব-কিতাব চলছে এখন। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে শত্রু ও মিত্র দেশগুলোর উপর গোয়েন্দাগিরি চালিয়ে আসছে এবং ইউক্রেইনে যুদ্ধ সম্পর্কিত স্পর্শকাতর এসব নথি কীভাবে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল, তা তদন্ত করতে নেমেছে দেশটির বিচার বিভাগ।
তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়নি কোথা থেকে, কীভাবে এসব নথি ফাঁস হল এবং কে বা কারা তা ফাঁস করল।
গোপনীয় এই নথি ফাঁস নিয়ে সব মহলে আলোচনার মধ্যে এনিয়ে এখন পর্যন্ত কী কী জানা গেল, তা তুলে ধরেছে সিএনএন।
তাদের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এই ‘পেন্টাগন লিক’ পর্যালোচনা করে দেখছে এবং এ ধরনের অতি গোপনীয় নথি লেনদেনের প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে সরকারের হাজার হাজার কর্মী দৈনিক এ ধরনের নথি আদান-প্রদান করতেন, কিন্তু এখন এ বিষয়ে কড়াকড়ি চলছে।
নথি ফাঁসের ধাক্কা সামলানোর পদক্ষেপ নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা
আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন যে এই ঘটনার ফলে স্পর্শকাতর তথ্যদাতার পরিচয় প্রকাশ ও গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারাও এই গোপন নথি ফাঁসের পরিসর ও স্পর্শকাতরতার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন, যদিও ঠিক কী ঘটেছে, তা নিয়ে তারাও পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নন।
কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট উভয় কক্ষের ‘ইন্টেলিজেন্স কমিটি’র নেতারা বাইডেন প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়েছেন।
কীভাবে ফাঁস হল?
সিএনএনের হাতে আসা বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রিনশট পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে, এই গোপন নথিগুলো গত মাসে অর্থাৎ মার্চে ‘ডিসকর্ড’ নামের সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের নথির বিষয়ে ধারণা রয়েছে- এমন একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, পোস্টগুলোতে পাওয়া ছবিগুলো দেখে ধারণা করা যায়, তাড়াহুড়োর মধ্যে সেগুলো দলাপাকিয়ে পকেটে গুঁজে ফেলা হয়েছিল। পরে একটি নিরাপদ স্থানে বের করে নথিগুলোর ছবি তোলা হয়। গোপন নথিগুলো কিছু সাময়িকীর উপর রেখে তারপর ছবি তোলা হয়। এর চারপাশে প্লাস্টিকের জিপ-লক ব্যাগ ও গরিলা গ্লুও (আঠা) দেখা যাচ্ছে ছবিতে।
রোববার ডিসকর্ডের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, তারা এ বিষয়ে তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সহযোগিতা করছেন।
শুক্রবার যেসব নথি পাওয়া গেছে সেগুলোর সবগুলোতেই ‘ক্লাসিফায়েড’ (গোপনীয়) ছাপ দেওয়া, কিছু নথিতে সর্বোচ্চ গোপনীয়তার চিহ্ন হিসেবে পরিচিত ‘টপ সিক্রেট’ (অত্যন্ত গোপনীয়) ছাপও রয়েছে।
এটা এখনও ধারণা করা সম্ভব হয়নি কে এই নথি ফাঁসের পেছনে রয়েছে এবং ঠিক কোন উৎস থেকে এগুলো ছড়িয়েছে।
নথিগুলোতে আছে কী?
সিএনএন জানিয়েছে, তারা ফাঁস হওয়া ৫৩টি নথি পর্যালোচনা করেছে, যেগুলো এ বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের শুরুর দিকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এসব নথিতে বিস্তৃত পরিসরে অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য রয়েছে, যা থেকে একটি ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার শত্রু ও মিত্র দুই পক্ষের ওপরেই একইভাবে গোয়েন্দাগিরি করে চলেছে।
কয়েকটি নথি থেকে জানা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এসব নথির বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করেছেন, ঠিক কী পরিসরে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরায়েল ও ইউক্রেইনের উপর নজরদারি করছে।
আরও কিছু নথি থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা বিস্তৃত পরিসরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাশিয়ার ভাড়াটে সৈনিকদের প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপে অনুপ্রবেশ করে গোয়েন্দাগিরি করছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় আড়ি পেতে এবং ভেতরের তথ্যদাতাদের মাধ্যমে এই গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে, যা এখন বন্ধ হয়ে যাবে এবং ওই তথ্যদাতারা বিপদে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যান্য নথি থেকে জানা যাচ্ছে, চলমান যুদ্ধে ইউক্রেইনের সমরাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ও সামরিক বাহিনীর আকার কতখানি এবং এর গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতাগুলো কোথায়।
গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইন যখন নিজেদের মধ্যে একটি পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চলেছে এবং কিইভ যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করতে চলেছে, ঠিক সেই সময়েই এই গোপনীয় নথি ফাঁসের ঘটনা ঘটল।
একটি নথি থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপরও নজরদারি করে চলেছে।
জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলছে, এটা অবাক হওয়ার মতো কিছু না, তবে ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা এই নথি ফাঁসের ঘটনায় খুব হতাশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নথি থেকে আরও জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে জেলেনস্কি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে রাশিয়ার রোস্তভ অবলাস্ত অবস্থানের উপর মনুষ্যবিহীন আকাশযান বা ইউএভি দিয়ে আক্রমণ চালানো হোক, যেহেতু ইউক্রেইনের দূরপাল্লার অস্ত্রভাণ্ডার নেই।
এসব গোপন নথিতে জানা গেছে, বিদেশি লক্ষ্যবস্তুর ব্যবহার করা যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাডার ও সমরাস্ত্র ব্যবস্থাপনার ইলেকট্রনিক সিগন্যাল থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
আরেকটি নথি বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথোপকথনের বিস্তারিত জানা গেছে। ওই দুই কর্মকর্তা আলোচনা করছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে গোলাবারুদ চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে এবং তা নিয়ে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ উদ্বিগ্ন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এজন্য উদ্বিগ্ন যে, তাদের কাছ থেকে গোলাবারুদ নিয়ে ওয়াশিংটন তা ইউক্রেইনে পাঠাবে, যা সিউলের নীতির পরিপন্থি। সিউলের নীতি হচ্ছে, যুদ্ধাবস্থায় থাকা কোনো দেশে তারা মারণাস্ত্র পাঠায় না। এই সংকট মোকাবেলায় একজন কোরীয় কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়েছেন যে তাদের দেশ ইউক্রেইনের প্রতিবেশী পোল্যান্ডের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি করতে পারে।
এই নথি এরইমধ্যে সিউলে আলোড়ন তুলেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই বিষয়ে ওয়াশিংটনের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অতি ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে নিয়ে ফাঁস হওয়া আরেকটি নথি নিয়ে জেরুজালেমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের প্রস্তুত করা ওই নথিতে দাবি করা হয়েছে, যে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ নিজ দেশের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে মদদ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের যে প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা মিত্র দেশগুলোর উপরও নজরদারি করে থাকে, ওয়াশিংটনের মিত্রদের এমন ধারণা থাকার পরেও, কয়েকটি দেশের কূটনীতিকেরা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বিষয়টি হতাশাজনক, এভাবে তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদার জন্য ক্ষতিকর।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও ‘পেন্টাগন লিকে’র ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে দেখছেন এটা বোঝার জন্য এ থেকে তাদের নিজেদের গোয়েন্দা সূত্র ও পদ্ধতি ফাঁস হয়ে গেছে কিনা। ‘ফাইভ-আইজ’ গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করার যে ব্যবস্থা, তার বাকি সদস্য দেশগুলোর (অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য) এক কর্মকর্তা বলেছেন, “আমারা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র এই নথি ফাঁসের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনার তথ্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে, কিন্তু আমরা তাদের মূল্যায়নের জন্য বসে থাকতে পারি না। এখন আমরা নিজেরাই নিজেদেরটা (মূল্যায়ন) করছি।”
দ্বিতীয় আরেক ‘ফাইভ-আইজ’ভুক্ত দেশের কর্মকর্তা ইউক্রেইন যুদ্ধের ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তার আশঙ্কা, এই নথি ফাঁস রণক্ষেত্রে ইউক্রেইনকে দুর্বল করে দেবে। তিনি ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তুত করা একটি নথির বরাত দিয়ে সতর্ক করেছেন। ফাঁস হওয়া ওই নথিতে ইউক্রেইনের বাহিনীর সংকটগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে শুক্রবার বলেন, তার বিশ্বাস ফাঁস হওয়া এই নথিগুলো ভুয়া এবং ইউক্রেইনের আসন্ন আক্রমণ পরিকল্পনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত রাশিয়ার ছড়ানো মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে এসব নথি প্রস্তুত করা হয়েছে।
এরপরেও অবশ্য নথি ফাঁসের ঘটনার কারণে ইউক্রেইনের সামরিক পরিকল্পনায় এরইমধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে সিএনএনকে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র।
এই তথ্য ফাঁসের বিষয়ে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা তাদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনায় যুক্ত আছেন এবং তাদের আশ্বস্ত করছেন যে গোয়েন্দা তথ্যের নিরাপত্তা ও তাদের অংশীদারত্বের দৃঢ়তা অটুট থাকবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরে, উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান কূটনৈতিকভাবে এই সংকট মোকাবেলা করার জন্য নিয়োজিত একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে অবগত কর্মকর্তারা।
বেদান্ত প্যাটেল অবশ্য বিস্তারিত জানাননি কোন কোন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি শুধু জানিয়েছেন, সংকট নিরসনে কার্যক্রম চলছে।
কারা তদন্তে?
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে একটি তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রতিরক্ষা বিভাগও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
রোববার পেন্টাগনের উপপ্রেস সচিব সাবরিনা সিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে যেসব স্পর্শকাতর ও গোপনীয় হিসেবে বিবেচিত নথি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে দেখছে প্রতিরক্ষা বিভাগ।
“নথি ফাঁসের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় এবং আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তা মূল্যায়নে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
সাবরিনা সিং আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত দুই দিন ধরে মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে এই লিক নিয়ে আলোচনা করে চলেছেন এবং ‘সংশ্লিষ্ট কংগ্রেশনাল কমিটিগুলো’কে এ বিষয়ে তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, কারা এসব গোপন নথি পেয়ে থাকেন, তা খতিয়ে দেখছে দ্য জয়েন্ট স্টাফ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক পোশাকে থাকা নেতৃত্ব, যারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জনসংযোগ সহকারী ক্রিস মাহের জানান, পেন্টাগনের একটি দল এই নথি ফাঁসের পরিসর ও সম্ভাব্য ফাঁক-ফোকরগুলোর খতিয়ে দেখছে, যার আওতায় আছে প্রতিরক্ষা বিভাগের আইন, জনপ্রশাসন, নীতি নির্ধারনী, সাধারণ পরামর্শক, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা, এবং জয়েন্ট স্টাফের দপ্তর।
কে বা কারা এই নথি ফাঁস করেছে- এ বিষয়ে কোনো ধারণা আছে কিনা জানতে চাইলে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সম্বয়কারী জন কারবি জানান, এ বিষয়ে অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব বিচার বিভাগের কাছে ন্যস্ত করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এই প্রশ্নের জবাবটিও সরাসরি তাদের অধীনে রয়েছে।
কারবি বলেন, “আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো উপসংহারে আসতে পারেনি যে কোথা থেকে এই নথিগুলো ছড়ানো হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই নথি ফাঁসের ঘটনায় আদতে এ মুহূর্তে কোনো হুমকির আশঙ্কা করছে কি না- জানতে চাইলে জন কারবি বলেন, “আমার জানা নেই। আমি আসলেই জানি না।”