০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
গবেষক ও সাংবাদিক। বর্তমানে একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
যুদ্ধ দীর্ঘ হলে শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলেও তৈরি হতে পারে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংকট।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আংশিক উপাদান নিহিত থাকলেও শেষপর্যন্ত তা হতে দেবে না বৈশ্বিক শক্তিগুলো। কারণ দুই দেশেই বৈশ্বিক এই শক্তিগুলোর কায়েমী স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো কারণে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হলে, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় অতি সাবধানতার বিকল্প নেই। কূটনৈতিক তৎপরতা যুদ্ধের নয়, শান্তির পক্ষে হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল তারাই বেশি আগ্রাসী নীতির পক্ষে ছিল। আর যে দল ক্ষমতার বাইরে ছিল তারাই তুলনামূলকভাবে বৈদেশিক হস্তক্ষেপকে নিরুৎসাহিত করেছে।
‘সড়ক দুর্ঘটনা’ ও ‘ডেঙ্গু উপদ্রব’– বাংলাদেশের কাঠামোগত সহিংসতার দুটি উদাহরণ। কারণ রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতার ফলে এই দুটি ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটে। তাই এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, সড়ক দুর্ঘটনা ও ডেঙ্গু নিয়ে বছরের পর বছর বাংলাদেশে যা চলছে সেটি এক ধরনের ‘যুদ্ধাবস্থা’ও।
ভবদহের মানুষের প্রতি এই জল-নিপীড়ন শুধুমাত্র অব্যবস্থাপনার ফল নয়। মূল দায় হলো রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক ‘পদ্ধতি’ বা ‘কাঠামো’র। অর্থাৎ যত দিন না এই নিপীড়নমূলক কাঠামো ভাঙছে তত দিন ভবদহের জলাবদ্ধতা শেষ হবে না। ভবদহের মানুষের মানবাধিকারও সুরক্ষিত হবে না।