০৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, আর সি ডি এস, পি এস সি (অব.)। দীর্ঘ ৩২ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। ক্যাপিটাল কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে মাস্টার্স ইন সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট এবং লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এম. এ। বাংলাদেশে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন এবং সবশেষে স্কুল অব ইনফ্যন্ট্রির কমান্ড্যান্ট পদ থেকে অবসরে যান। চাকরির বিভিন্ন স্তরে তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণে নিয়োজিত ছিলেন। পাঁচটি দেশের অস্থিতিশীলতার কারণ উদ্ঘাটন করে তার বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন একাডেমিক দলিল হিসেবে ব্রিটেনে উচ্চতর সামরিক প্রতিষ্ঠানে স্থান পেয়েছে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ ক্লাসের থিসিসের পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ-বিদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করেন। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই লেখালেখি করেন। তার মূলত আগ্রহের জায়গা সুশাসন ও জনগণের ক্ষমতায়ন।
যদি সরকার সেনাপ্রধানকে রাখাইন করিডোর নিয়ে একটি বা একের অধিক পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিত এবং তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেই রূপরেখা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করতে বলত তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আর এর ফলে সশস্ত্রবাহিনী ও সরকার যে এই দায়িত্বে একই পক্ষভুক্ত আছে তা-ও প্রমাণিত হতো।
এই অহেতুক যুদ্ধে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হওয়া কাউকে কাউকে যুদ্ধের নায়কে পরিণত করা হবে। অকালে প্রাণ হারানো সেই নায়কদের নিয়ে তৈরি হবে সিনেমা। মাঝ থেকে কিছু মা তাদের তরুণ টগবগে সন্তান হারাবে, কিছু স্ত্রী অকালে বিধবা হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র বাহিনীর কোনো কিছুই, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ও সাংগঠনিক দুর্বলতা লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কেননা সশস্ত্র বাহিনী সমাজেরই একটি অংশ। তাই এর ভেতরে কী হচ্ছে না হচ্ছে, তা সবাই জানে।
আমাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলোয় অনেক ভালো এবং দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশের কথা বলা হলেও জবাবদিহি নিশ্চিতের বিষয়টি সেভাবে এসেছে বলে মনে হয় না।