Published : 12 Jun 2025, 12:14 AM
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরার ফলে বিস্তার কমে এসেছে দাবদাহের।
বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা ধীরে ধীরে আরও বাড়তে পারে বলে এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ বলছে, বুধবার দেশের ২৫ জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগের দিন মঙ্গলবার এর বিস্তার ছিল ৪৯ জেলার উপর।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের এলাকা এবং পরিমাণ দুটোই বাড়তে থাকবে৷ তাপপ্রবাহের বিস্তারও কমে আসবে।"
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, বুধবার টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ হয় রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী, রংপুর এবং নীলফামারীর ডিমলায়। এসময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
বুলেটিনে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রয়েছে রাঙামাটিতে। এছাড়া কুমিল্লায় ৫১, চট্টগ্রামের আমবাগানে ৪৩ এবং চাঁদপুরে ৪২ মিলিমিটারসহ দেশের বেশিভাগ এলাকায় কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমার আভাস এসেছে পূর্বাভাসে।