Published : 20 May 2024, 08:36 PM
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডেটাবেইজ (এনএইচডি) প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে করা একটি অভিযোগ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিট আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আবু জাফর শেখ মানিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডেটাবেইজ (এনএইচডি) প্রকল্প পরিচালনা করা হয় ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ প্রকল্প নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের একটি অভিযোগে করা হয়েছে দুদকে।
“দুদককে ওই আবেদন আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।”
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুদকের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ওই প্রকল্পের জন্য ৫৪৫ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ করা জনবলকে দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য উপজেলা ও জেলা পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে সংযুক্ত করা হয়।
২০২২ সালের জুনে তাদের জেরক্স ইন্ডিয়া কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান ১৪টি জেলার তথ্য আংশিক সংশোধন ও ৫০টি জেলার ডেটা অসমাপ্ত রেখে প্রকল্পের ১১২ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৬২২ টাকা উত্তোলন করে নেয়। এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ৭২৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ ও সরকারের টাকা ছিল।
আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক বলেন, এই প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৫৪৫ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে মাসিক বেতন-ভাতাদি না দিয়ে এবং প্রকল্পের টিপিপির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের রাজস্ব খাতে নিয়োগ না দিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
“পরে ভুক্তভোগী ৭৩ জন এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এছাড়া অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা চেয়ে দুদকের কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনে দুদকের সাড়া না পেয়ে ১৩ মে হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন ৭৩ জন; ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।”
দুবছর আগে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ‘দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ‘দুর্নীতি কমানোর’ প্রকল্প!’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।