Published : 05 Dec 2024, 05:16 PM
জ্বালানি নিরাপত্তা সংরক্ষণের লক্ষ্যে লুণ্ঠনমুক্ত ব্যয়ে ভোক্তার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব; এ জন্য সরকারের কাছে ৫টি দাবিও পেশ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি-২০২৪’ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সংলাপে করে ক্যাব এসব দাবি তুলে ধরে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, “আমাদের সমস্যা মূলত হচ্ছে যে, আমরা একদল লুণ্ঠনকারী তৈরি করেছি এবং রাষ্ট্র এটাকে (জ্বালানি খাত) লুণ্ঠনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করেছে। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় লুণ্ঠনকারীরা লুন্ঠন করে যাচ্ছে। সেখানে ‘এনার্জি রাইটস’ ও ‘এনার্জি জাস্টিস’- এই দুটো জিনিসকে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
তিনি বলেন, “এই দুটো জিনিস প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে আমাদের মূল অন্তরায় ছিল সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার); যিনি লুন্ঠনের মূল অধিনায়ক। সেই অধিনায়কের যখন বিদায় হয়ে গেছে, তখন সেই জায়গাটা ঠিক করার সুযোগ তৈরি হয়ে গেছে।”
“প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, ‘আমরা কিছু করব না।’ অর্থাৎ, সরকার কিছু করবে না। জনগণের জন্য তারা ফ্যাসিলিট্যাটেড করছে এবং সেই সুযোগ তারা সৃষ্টি করেছে। সেই সুযোগ ব্যবহার করে জনগণ তাদের পরিবর্তনগুলো নিশ্চিত করবে”, বলেন তিনি।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমান সরকারের নিকট জনগণের দাবি- ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির আমদানি/উৎপাদন, সঞ্চলন/পরিবহন ও বিতরণে প্রকৃত ব্যয় এবং লুন্ঠনমূলক ব্যয়ের পরিমাণ অবিলম্বে নির্ধারণ করতে হবে।”
জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার মধ্যে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা সংরক্ষণের লক্ষ্যে লুণ্ঠনমুক্ত ব্যয়ে ভোক্তার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা জন্য ক্যাবের পাঁচটি চাওয়া তুলে ধরে তিনি। দাবিগুলো হল-
সংলাপে অন্যদের মধ্যে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান (রাজু) উপস্থিত ছিলেন।