Published : 10 May 2025, 03:59 PM
দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোয় গ্যাসের রেশনিং প্রথা পুরোপুরি বাতিল চান মালিকরা।
শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ঐক্য ফোরাম।
সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ উপলক্ষ্যে রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী-ফারহান নূর পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ফারহান নূর ভূঁইয়া দাবি করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের সঙ্গে ‘বিমাতাসুলভ’ আচরণের ফলে রেশনিং পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
“দেশে ব্যবহৃত মোট গ্যাসের চার শতাংশের কম সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে রেশনিংয়ের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা করি না। এই সরকার এসে রেশরিং কমিয়েছে কিন্তু আমরা রেশনিং পুরোপুরি বাতিল চাই।”
তিনি বলেন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া সে সময় সরকার মেনে নিয়েছিল। পূরণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা করা হয়নি।
“আমাদের ট্যাগ দেওয়া হত, বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের। আসলে আমরা ব্যবসায়ী, রাজনীতি করতে আসিনি। বিগত সরকারের আমলে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা তরফে বলা হয়, ২০১৭ সালে মালিকদের কমিশন ২ টাকা ৯৮ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও ১ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর থেকে কমিশনের বাকি টাকা মালিকরা পাচ্ছেন না। প্রস্তাবিত কমিশন বর্তমান বাজারমূল্যে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
তাদের দাবি, সরকারের প্রতিশ্রুত বাকি ১ টাকা ৯৮ পয়সা, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং সিএনজি স্টেশন পরিচালনায় বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য বাবদ ১ টাকা ৬০ পয়সা, সব মিলিয়ে মোট ৫ টাকা ১০ পয়সা কমিশন হিসেবে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, ইয়াসির মো. আজিম খান, নূর উদ্দিন খন্দকার, তানভীর রহমান, সাঈদ সাদত আহমেদ, আবদুল হাকিম প্রধান, মোমেন মোল্লা, আল মামুন ভূইয়া, আব্দুল কাইয়ুম খান, এ বি এম সাত্তার ভুইয়া, আলী আফসার মো. ফাহিম, ইফতেখার আহমেদ, এ এইচ এম খাদেম দুলাল, সুব্রত ধরসহ সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।