Published : 15 May 2024, 12:02 AM
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় এ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীন জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত তাকে জামিন দেয়।
সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই জালাল উদ্দিন জামিন দেওয়ার তথ্য জানান।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলাকে সনদ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ।
দুদিনের রিমান্ড শেষে গত ২৩ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম তদন্ত শেষ না হওয়ায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।
সেদিন ঢাকার মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ সেহেলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছিলেন।
সেহেলার আগে গোয়েন্দা পুলিশ গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আকবরের স্ত্রী সেহেলার নাম।
এরই মধ্যে এ মামলার প্রধান আসামি শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তার ভিত্তিতে সেহেলাকে গত ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়।
তখন ডিবি জানায়, প্রাথমিকভাবে সেহেলা ও শামসুজ্জামানের মধ্যে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সনদ ও নম্বরপত্র বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ মামলায় আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক কর্মচারী ও শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির কারখানায় কাজ করা কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা, যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমান।
আরও পড়ুন:
জালিয়াত চক্রের সঙ্গে ‘অর্থ লেনদেন’: কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তা
সনদ জালিয়াতি: নিজের 'দায় দেখছেন' কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান