দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততাও চান পরিবেশ উপদেষ্টা

বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকারের মনোযোগ রয়েছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তবে এ জন্য শুধু আইনের প্রয়োগই যথেষ্ট নয়, জনগণের অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন শুরুর জন্য প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও পানিদূষণ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার, গণমাধ্যম ও জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে।”

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই তাগিদ দেন রিজওয়ানা হাসান।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান রেখে তিনি বলেন, “আমরা চাই, মানুষ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন শুরু করুক।”

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাংবাদিকদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান জলবায়ু সম্মেলনে ‘নিগোশিয়েশন টিম’ আরও শক্তিশালী করা এবং স্থায়ী নিগোশিয়েটর টিম তৈরি করার পরামর্শ দেন।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয়ের প্রস্তাব রেখে পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, বন উজাড় ও পাহাড় কাটা রোধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

অন্যান্যের মধ্যে আরও ছিলেন সময়ের আলো পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, সাংবাদিক বাহারাম খান।