Published : 29 May 2025, 04:34 PM
‘দুর্নীতির’ অভিযোগ থাকায় স্ত্রী-সন্তানসহ গাজীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাজীপুরের সাবেক এসপি শফিকুল আলম, তার স্ত্রী জিনিয়া ফারজানা, দুই মেয়ে কাজী আরিয়া বিনতে শফিক ও কাজী আনুশা বিনতে শফিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের তরফে আবেদন করা হয়।
শুনানির পর আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দুর্নীতির’ অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানের সময় জানা যায়, শফিকুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সে কারণে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার ও তার স্ত্রী হাকিমুন নাহারের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট্কমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, আহমাদুল বাশারের বিরুদ্ধে ‘নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও দলীয় পদ দেওয়ার নামে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ বিপুল সম্পদ অর্জনসহ অন্যান্য অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
দুদক বলেছে, অনুসন্ধানের সময় সংস্থা জানতে পেরেছে যে তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন মনে করছে দুদক।
এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, আয়কর রিটার্ন দাখিল, পাসপোর্ট ইস্যু-নবায়ন, ব্যাংক হিসাব খোলা-পরিচালনাসহ যাবতীয় কার্যক্রম জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আহমাদুল বাশার ও তার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রটি স্থগিত করা হলে এসব কাজ তারা করতে পারবেন না। তাই তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র স্থগিত করা প্রয়োজন বলেও মনে করে দুদক।