Published : 06 Apr 2025, 02:37 PM
মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে এবং এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মানব পাচার সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
“এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সজাগ রাখার পাশাপাশি সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
রোববার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে মানব পাচার সংক্রান্ত বিমসটেক সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মানব পাচারকারীদের বিচার দ্রুত করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেন, "আমাদের জাতীয় কৌশলে সচেতনতামূলক প্রচারণাগুলোকে পদ্ধতিগতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে আমরা বিমসটেক এবং অন্যান্য দেশের সাথে এ বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য আমাদের পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থাকে প্রসারিত করেছি।"
মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, "পাচারকারীরা সরকারি উদ্যোগগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত নিত্য নতুন কৌশল গ্রহণ করে। তারা সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সংকট ও দারিদ্র্যকে কাজে লাগিয়ে ও প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গোপন কার্যকলাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য অভিবাসন রুটগুলোকে কাজে লাগাতে থাকে।
“এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সম্মিলিত এবং কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেরা অনুশীলন বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।"
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং মানব পাচার সংক্রান্ত বিমসটেক সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভার চেয়ারম্যান খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিমসটেক সেক্রেটারিয়েট ঢাকার পরিচালক প্রশান্থ চান্দ্রান।
সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের মানব পাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রপের সদস্যরা অংশ নেন।