Published : 29 May 2025, 11:44 PM
সাবেক বন সংরক্ষক ও মেঘনা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ মামলাটি করেন সংস্থার উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, “মোশাররফ হোসেন ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগে সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৫ সালে বন সংরক্ষকের পদ থেকে অবসর নেন। অবসরের পর তিনি ‘মেঘনা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং ব্যবসায় যুক্ত হন।”
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলেছে, অবসরের পর মোশাররফ হোসেন যে সম্পদ অর্জন করেছেন তার মধ্যে রয়েছে—ধানমন্ডিতে তিন হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট (মূল্য প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ টাকা), পূর্বাচলে একটি প্লট (মূল্য ২০ লাখ টাকা), সেন্টমার্টিনে ৪০ শতক জমি (মূল্য ৬০ লাখ টাকা)।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও স্থায়ী আমানত (এফডিআর), ব্যবসায়িক মূলধন, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, ব্যক্তিগত গাড়ি ও নগদ অর্থসহ আরও ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে তার অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৫ কোটি ১১ লাখ ১৩ হাজার ২৬০ টাকা।
অথচ আয়কর নথি অনুযায়ী, ২০০৭-০৮ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত মোশাররফ হোসেনের বৈধ আয় মাত্র ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৪৮ টাকা। ওই সময়কালে তার পারিবারিক ব্যয় ছিল প্রায় ৯০ লাখ টাকা। ফলে মোশাররফের বৈধ সঞ্চয় দাঁড়ায় মাত্র ৮৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকা।
দুদক বলেছে, তার বৈধ আয় বাদ দিলে বাকি ৪ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০১ টাকা সম্পদ ‘জ্ঞাত আয়ের বাইরে’ অর্জিত। এ জন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।