Published : 06 May 2025, 06:07 PM
নিজেদের পুরনো ‘ইন্সপেক্টর’ ও ‘সুপারিনটেনডেন্ট’ পদে ফিরতে চান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা (এআরও)।
এ দাবি আদায়ে শিগগিরই গণস্বাক্ষর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ)।
অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এরই মধ্যে তারা অর্ধেকের বেশি কর্মকর্তার সই সংগ্রহ করেছেন।
এর আগে রোববার নিজেদের দাবি তুলে ধরে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে চিঠি দেন বাকাএভ নেতারা।
এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস মেলে।
সংগঠনটির অভিযোগ, ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অনুবিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ‘মতামত উপেক্ষা করে’ তৎকালীন সরকার ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদ কেড়ে নিয়ে এআরও এবং আরও করে দেয়।
এনবিআরের আয়কর অনুবিভাগে ইন্সপেক্টর ও ভ্যাট অনুবিভাগে সাব-ইন্সপেক্টর পদ থাকায় তারা নিজেদেরকে ‘শুধু স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তে বৈষম্যের স্বীকার’ বলেও দাবি করছেন।
বাকাএভের সভাপতি কে এম মাহবুব আলম মঙ্গলবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “আমরা মেম্বার অ্যাডমিন (সদস্য, প্রশাসন) স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, একটা পজিটিভ রেজাল্ট আসতে পারে। তো তিনি তার জায়গা থেকে এটা বলেছেন।
“আর চেয়ারম্যান স্যার অর্থ উপদেষ্টা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন।”
এখন কর্মকর্তারা ‘অপেক্ষা’ করছেন তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সুদৃষ্টিটা আমাদের আসলে প্রয়োজন। এতে কোনো এক্সটা বেনিফিট যুক্ত হবে না। কিন্তু যেটা যুক্ত হবে, সেটা হচ্ছে রেপুটেশন।
“কারণ কী, সত্যিকারে গ্লোবালি ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট- এসব নামে পরিচিত।”
তিনি বলেন, “আরও এবং এআরও- এসব পদের ব্যাপক ব্যবহার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতে রয়েছে। এটার জন্য আমরা একটু বেকায়দায় পড়ে যাই। এছাড়া এসব নামের সুনাম নষ্ট হয়েছে নানাভাবে।“