Published : 12 May 2025, 08:05 PM
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।
এদিন সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিল প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেছিলেন, “গণমাধ্যমের তথ্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন হলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। প্রজ্ঞাপনটা আসতে দেন। ডেফিনিটলি সাংবিধানিক সংস্থা। আমরাও এটা নিয়ে কনসার্ন। বাট, উই আর ওয়েটিং ফর দি গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।”
বিকালে প্রজ্ঞাপন জারির ঘণ্টাখানেক পর বৈঠকে বসে ইসি। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে বলে ইসিতে আলোচনা রয়েছে।
বৈঠকে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
এর আগে এদিন বিকালে অভ্যুত্থান দমাতে ‘গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সদ্য সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারার আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
এর অর্থ হল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ আপাতত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বা প্রচার চালাতে পারবে না।
দলটিকে জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন: নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি