Published : 26 May 2025, 04:48 PM
মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের, স্ত্রী শেরিফা কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়া সোমবার এ আদেশ দেন।
১৮ মে জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি মামলার আবেদন করেন। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৬ মে আদেশের দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জাহিদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূইয়া, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ,উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম, গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার ও জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সাইদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচনে’ মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত হন। নাজমিন সুলতানা তুলিকে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠান। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে বাদী প্রতিবাদ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এতে দলের অভ্যন্তরীণ বেড়ে যায।
মামলায় বলা হয়, পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তার সহযোগিতায় ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করেন। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
আগের খবর
মনোনয়ন 'বাণিজ্য': জি এম কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন