Published : 25 Apr 2025, 04:12 PM
ঢাকা উত্তর সিটি করপোশেনের নতুন এলাকা বেরাইদে নির্মাণকাজে ত্রুটি দেখতে পেয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক করেছেন নগর সংস্থার প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেছেন, “বেরাইদ ও আশেপাশের এলাকায় চলমান কাজে কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি পেয়েছি৷ ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ খরচে মেরামত করার জন্য।
“ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করলে আমরা ব্যবস্থা নেব, প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।'
শুক্রবার বেরাইদ এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ডিএনসিসির নতুন ও পুরাতন এলাকাগুলোর মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য রয়েছে। পুরনো এলাকার রাস্তা ও ড্রেনসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে মাঠ, পার্ক ও ফুটপাত এসব দখল। আমরা এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করছি৷
“আর ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এগুলো নির্মাণ করতে হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা করে সাজানো হবে। কোনো ইনজাস্টিস হবে না নতুন ওয়ার্ডগুলোতে। নতুন আরবানাইজেশন করা হবে, কিন্তু পরিকল্পিত হবে।”
প্রশাসক এজাজ বলেন, “একসময় এগুলো ইউনিয়ন ছিল। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এসব বাড়িঘর ভেঙে প্রশস্থ রাস্তা নির্মাণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ। এসব আমরা করব, কিন্তু সময় লাগবে।
“বিশেষ করে দক্ষিণখান-উত্তরখানের মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন। তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নাই, জলাবদ্ধতা সমস্যা। আমি তাদের সাথে বসেছি। সমস্যাগুলো সমাধানে পরিকল্পনা করে কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “বেরাইদ ও আশেপাশের এলাকায় সরেজমিনে এসেছি। এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, এই এলাকা যেন দক্ষিণখান-উত্তরখানের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন না হয়ে যায়।
“এই এলাকার রাস্তা নির্মাণের অনেক আবেদন পেয়েছি৷ তাই আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি, আবেদন অনুযায়ী রাস্তাগুলোর যৌক্তিকতা আছে কি না, সেটি দেখছি। জনগণের জন্য লাভবান হলেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে, অন্যথায় হবে না।”
ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-১০ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।