Published : 13 May 2025, 02:10 AM
চলতি মে মাসের শেষ দিকে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যেটি পরে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ সোমবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২২ বা ২৩ মে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে, যেটা পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।"
তিনি বলেন, “সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। অক্টোবর-নভেম্বরের দিকেও হয়। এই দুইটা সময়ে বেশি ঘূর্ণিঝড় হয়। তবে এটা নিয়ে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়৷”
আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার সকালের নিয়মিত বুলেটিনে বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গা এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
খুলনা বিভাগের অঞ্চলগুলোয় দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে পারে এক থেকে তিনি ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ তালিকায় রয়েছে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও যশোর।
গেল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়; ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলাটিতে গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। শনিবার এ জেলাতেই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে; ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপ প্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি ও এর ওপরের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গেল ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকাতেও এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে রোববার সন্ধ্যায়।
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাঙামাটিতে। সেখানে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া নেত্রকোনায় ৪২ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৪১ ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।