Published : 03 Jun 2025, 03:27 PM
কোরবানির ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্নভাবে নজরদারি চালানোর কথা জানিয়েছে র্যাব।
বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেছেন, “গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে কোনো ধরনের নাশকতার ব্যপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
“তার পরেও গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা রোধ করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে এ বাহিনী।”
মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ঈদে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসা নারীদের হয়রানি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“কেউ কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাবকে জানাবেন। আমরা কঠোর হস্তে জড়িতদের দমন করব।”
ঈদে ঘুরমুখো মানুষের নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে সড়ক, নৌ ও রেলপথে নিরাত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টার্মিনালগুলোতে নিয়ন্ত্রণকক্ষ, ওয়াচটাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
“অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, হয়রানি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধে নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। কোনো অনিময় পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
তিনি বলেন, চামড়া কেনাবেচায় কিছু সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকতে পারে। এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।
শপিংমল ঘিরে র্যাবের তৎপরতার কথা জানিয়ে সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, “যাতে জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে। ঈদের ছুটিতে যাওয়া সারাদেশে মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল এবং শপিংমলসহ অন্যান্য স্থানে নজরদারি ও টহল থাকবে।”
ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
“র্যাবের যে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং র্যাবের পক্ষ থেকে সারা দেশে ১৫টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে যে নজরদারি; এটি চলমান রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের যে স্বাভাবিক কার্যক্রম এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, এ কার্যক্রম চলমান রেখেছি। যদি কোন ধরনের অপতৎপরতা আমাদের নজরে আসে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে দুপুরে ঢাকার গাবতলীতে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৪ অধিনায়ক মাহবুব আলম বলেন, “দেশের সর্ববৃহৎ পশুরহাট গাবতলীসহ অন্যান্য পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাব-৪ তার দায়িত্বপূর্ণ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসি পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।"
মাহবুব আলম বলেন, “পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা মহাসড়কে পশুহাটসহ যেকোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”