Published : 19 May 2025, 11:49 PM
রাজধানীর পল্টনে ‘ঝটিকা মিছিল’ থেকে গ্রেপ্তার রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়াসহ ১৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ সোমবার শুনানি শেষে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ডের অনুমতি দেন।
১৪ আসামির মধ্যে রিপন বাবু, মো. নাঈম ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম ও দিপু মোল্লা, যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাজমুল হাসান সোহাগ, কুমিল্লা জেলা উত্তর শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্য সচিব মো. আল-আমিন, মো. আব্দুল আলিম ওরফে সোহাগ সিকদার, আরিফ হোসেন ও মো. রবিউল করিম কনকের তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি এসেছে।
মোজাম্মেল হোসেন রিপন, জাকির হোসেন ব্যাপারী, শফিকুল ইসলাম শফিক ও মহিউদ্দিনের রিমান্ড হবে এক দিন করে।
পল্টন মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলাটি করেন ওই থানারই এসআই নূর মোহাম্মদ খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন পল্টন মডেল থানার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি সোমবার আসামিদের আদালতে তুলে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চান।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
আসামিদের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন ।
ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রোববার বিকালে ছাত্রলীগের সদস্যরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বায়তুল মোকাররম ও আশপাশ এলাকায় নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালায়।
মামলায় বলা হয়, প্রচারণা চালানোর সময় ‘ছাত্র-জনতার’ সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটের আশপাশের এলাকা থেকে আটজনকে আটক করে পুলিশ। ১৪০ থেকে ১৫০ জন বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বাকি ছয়জনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মামলায় বলা হয়েছে, ধরা পড়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের বিষয়ে তথ্য দেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।