Published : 03 Jun 2025, 09:39 AM
যাত্রাবাড়ীতে ব্যবসায়ী ইয়াছিন গাজী হত্যা মামলায় তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ।
রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আল আমিন, নাজমা বেগম ও সাবিনা আক্তার।
এদিন দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী এস এম জাকির হোসেন রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবারই নিহত ইয়াছিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে আল আমিন, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, তাদের দুই স্বজন হারুন ও হারুনের স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে আসামি করে মামলা করেন।
বাদীর অভিযোগ, কাজলার ছনটেক এলাকায় মায়ের দোয়া নামে একটি হোটেল ছিল ৩০ বছর বয়সী ইয়াছিনের। মাস চারেক আগে তিনি সেটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় আল আমিনের কাছে বিক্রি করেন। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা অপরিশোধিত ছিল।
সেই পাওনা নিতে রোববার রাত ১০টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে ছনটেকে আল আমিনের বাসায় আসেন। সেখানে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে ইয়াছিন ও আল আমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় অন্য আসামিরা ইয়াছিনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। একপর্যায়ে আল আমিন ধারালো বটি দিয়ে ইয়াছিনের ঘাড়ে কোপ মারে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
গুরুতর অবস্থায় ইয়াছিনকে ঢাকা মেডেকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াছিনের বাড়ি চাঁদপুর জেলার সদর থানার বাগাদি ঢালীরঘাট এলাকায়। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশার গাজীর ছেলে। স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় তিনি থাকতেন।
ইয়াছিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, “পাওনা ১০ হাজার টাকা চাওয়ায় ওরা আমার স্বামীকে খুন করেছে। আমার ছেলে দুটিকে বাবা হারা করেছে। আমি ওদের সর্বোচ্চ সাজা চাই, ফাঁসি চাই।”
তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই ফরহাদ আলী বলেন, “পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা। অন্য কোনো রহস্য আছে কি না সে বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”