Published : 17 Jun 2025, 07:55 PM
প্রায় এক যুগ আগের এক মাদক মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এক ব্যক্তি আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি ‘কিছুই জানেন না’।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, মামলায় দীর্ঘদিন কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
“এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়। কোর্ট শুরুর ২-৩ মিনিট আগে এ সাক্ষী আদালতে হাজির হন। তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে ব্রিফ করা হয়। তিনি আমার কাছে সবকিছু স্বীকার করেন।”
মাহফুজুর রহমান বলেন, “পরে রতন সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীর ডকে ওঠেন। সাক্ষী দিতে গিয়ে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিচারক তাকে জেরা করেন। আমিও তাকে প্রশ্ন করি। বললাম আমার কাছে তো সব স্বীকার করলেন, এখন বলছেন কিছু জানেন না।
“বিচারক রতনের কাছে জানতে চান, আপনি কী জানেন। তখন তিনি বলেন, ‘কিছুই জানি না।’ তখন বিচারক জানতে চান, ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন? রতন জবাব দেন, পুলিশের গাড়ির চালক ছিলেন। কোথায় কোথায় গাড়ি চালান জানতে চাইলে বলেন, ‘কিছু জানি না’। পরে বিচারক তাকে সাত দিনের জন্য সেফ কাস্টডিতে পাঠান। ২৫ জুন তার সাক্ষ্য নেওয়া হবে।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০১৪ সালের ২৮ জুনের। সেদিন রাত পৌনে ১০টার দিকে মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ২৫ বোতল ফেনসিডিল পায় পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই রাজ কুমার।
মামলাটিতে তদন্ত করে একই বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ওই থানার এসআই মুনিরুজ্জামান। ১৫ সেপ্টেম্বর ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এখন পর্যন্ত মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩ জন জবানবন্দি দিয়েছেন।
রতন অভিযোগপত্রের ২ নম্বর সাক্ষী। তার বাড়ি বরগুনার তালতলী থানার ছোটভাই জোড়া গ্রামে।