Published : 03 Feb 2025, 03:47 PM
অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) আহ্বায়ক করে গঠিত ১১ সদস্যের এই টাস্কাফোর্সে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিবকে (বহিরাগমন-২ অধিশাখা) সদস্য সচিব করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মহাপরিচালক (কনস্যুলার), জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১ অধিশাখা), পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ইমিগ্রেশন), ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন উইং), প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিচালক (বহিঃসম্পর্ক সংযোগ উইং) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের পরিচালক (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এন্ড লিয়াঁজো ব্যুরো) এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্সের কর্মপরিধি জানিয়ে বলা হয়, “বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে গৃহীত সার্বিক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরামর্শ প্রদান, এ সংক্রান্ত বিষয়াদির উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান ও প্রয়োজনবোধে সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারবে এবং কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তা- ব্যক্তিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে এবং প্রয়োজনে কো-অপ্ট করতে পারবে।”
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গত ২৬ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছিল।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘কর্মানুমতি ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক বৈঠকে বলা হয়, দেশে বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭ জন। যদিও অবৈধভাবে বাংলাদেশে থেকে যাওয়া বিদেশির সংখ্যা সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখ বলে ধারণা করা হয়।
এদের অনেকে বাংলাদেশে থেকে আয়রোজগার করলেও কর দেন না। তাদের একটি বড় অংশ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। কারণ, ধরা পড়লে জরিমানার অংক খুবই কম, মাত্র ৩০ হাজার টাকা। আবার অনেকে ভিসার শ্রেণি পরিবর্তন করেও বেশি দিন অবস্থানের সুযোগ নিচ্ছেন।