Published : 07 Oct 2024, 07:42 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি পরিচয় গোপন করে সিটি করপোরেশনের কর্মী হিসেবে পাসপোর্ট নিয়েছিলেন।
বিষয়টি ধরা পড়ার পর ভুয়া তথ্য দিয়ে নেওয়া সেই পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ- সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এটিএম আবু আসাদ এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আবদুল্লাহিল কাফি পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নেওয়া তার সরকারি পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে পরিচয় গোপন করে সিটি করপোরেশনের কর্মী হিসেবে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। এজন্য তিনি সিটি করপোরেশনের জাল অনাপত্তি জমা দেন।
তার ভাষ্য, আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট দপ্তরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সাধারণের বেশে এসে সবার জন্য নির্ধারিত কাউন্টারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্প্রে ম্যান সুপারভাইজার হিসেবে পাসপোর্ট নিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৫ অগাস্ট আবেদন করার দিনেই তিনি সাধারণ পাসপোর্ট পেয়ে যান। জরুরি ফি জমা দেওয়ায় নিয়মানুযায়ী তিনি ওইদিনই পাসপোর্ট পান।
এ সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় গত ৩ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সাভার জেলা পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি।
পরে তাকে ২০১৯ সালে ঢাকার হাজারীবাগে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগে সরকার পতনের পর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন আশুলিয়া থানায় আক্রমণে যাওয়া জনতার ওপর গুলিতে প্রাণহানির পর মরদেহ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এ পুলিশ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তথ্য গোপন ও জাল কাগজপত্রের বিষয়টি ৪ সেপ্টেম্বর জানার পর পুলিশ কর্মকর্তা কাফির নতুন পাসপোর্ট বাতিল করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের শো'কজ করা হয়।
তিনি বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে জবাব দেন। ওই দিন জাহাঙ্গীর আলম তার গাফলতির কথা স্বীকার করেন। পরে সব কিছু যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা তুলে ধরে আবু আসাদ বলেন, তদন্তে আর কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।